স্টুডেন্টস অবস্থায় লেখাপড়ার পাশাপাশি ইউনিক কয়েকটি লাভজনক ব্যবসায় আইডিয়া

বাড়িতে ব্যায়াম করার সেরা উপকরণ ২০২৫ সম্মানিত পাঠকগণ আসসালামু-আলাইকুম। আজকে আমরা জানব স্টুডেন্ট অবস্থায় লেখাপড়ার পাশাপাশি ইউনিক কয়েকটি লাভজনক ব্যবসায় সম্পর্কে। সম্পূর্ণ পোস্টটি ভালোভাবে পড়ুন।


পেজ সূচিপত্র: স্টুডেন্ট অবস্থায় লেখাপড়ার পাশাপাশি ইউনিক কয়েকটি লাভজনক ব্যবসায় আইডিয়া 

আপনি স্টুডেন্ট থাকা অবস্থায় যদি ভাবছেন যে লেখাপড়ার পাশাপাশি অনলাইন প্রাইভেট টিউশন চালু করা যায় তবে সেক্ষেত্রে এটি একটি দারুণ উদ্যোগ হতে পারে। এটি শুধুমাত্র অর্থ উপার্জনের সুযোগই নয় অনেকাংশে আপনার জ্ঞান ও বৃদ্ধি করে। তো আসুন আমরা গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরামর্শ জেনে নেই যেগুলো আপনাকে অনলাইন টিউশন চালু করতে অনেক আছে সাহায্য করবে:


১. যে বিষয়ে পড়াবেন তা নির্ধারণ করা:
  • প্রথমত আপনি যে বিষয়গুলোতে পারদর্শী যেমন সেটা গণিত হতে পারে ইংরেজি পদার্থবিজ্ঞান ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয় হতে পারে তা বেছে নিবেন।
  • আপনি ক্লাস ফাইভ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত যেকোনো একটি গ্রেডের শিক্ষার্থী টার্গেট রাখবেন।
২. প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করা:
  • আপনি যদি লাইভ ক্লাস করাতে চান তবে সে ক্ষেত্রে জুম অথবা google মি ট অবশ্যই ভালো।
  • প্রচার প্রচারণার জন্য আপনি সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক পেজ বা গ্রুপ ব্যবহার করতে পারেন।
  • ক্লাসের আপডেট অথবা যেকোনো নোট শেয়ার করার জন্য আপনি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জার টেলিগ্রাম ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন।
  • যদি আপনি কোন কোর্স তৈরি করতে চান তবে সে ক্ষেত্রে অনলাইন টিউশন প্লাটফর্ম যেমন টেন মিনিট স্কুল বহুবৃদ্ধি বা উদেমেই ইত্যাদি ইউজ করেন।
৩. প্রমোশন এবং মার্কেটিং:
  • প্রমোশন অথবা মার্কেটিং এর জন্য আপনি প্রথম পর্যায়ে নিজের বন্ধু বা আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে দিন।
  • সোশ্যাল মিডিয়া যথা ফেসবুকে বিজ্ঞাপন বা পোস্ট শেয়ার করুন।
  • আপনার পড়ানো কিছু স্টুডেন্টদের রিভিউ শেয়ার করুন যাতে অনেকটা পড়ানো হয়ে গেছে এমন।
৪. সময় ব্যবস্থাপনা এবং টিউশন ফি নির্ধারণ:
  • আপনি আপনার সময় এবং শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকের সামর্থ্য অনুযায়ী একটি যুক্তি যুক্ত টিউশন ফি নির্ধারণ করবেন।
  • এক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই প্রতিদিনে অন্তত এক থেকে দুই ঘন্টা সময় নির্ধারণ করুন।
৫. ক্লাসের মান বজায়:
  • ক্লাস নেওয়ার সময়ে চেষ্টা করবেন ভালোভাবে বুঝানোর।
  • প্রয়োজনে আপনি ক্লাসের ডিজিটাল নোট স্লাইড বা ভিডিও কনটেন্ট রেখে দিন বা তৈরি করুন।
৬. ট্রাস্ট তৈরি করা:
  • এক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই ক্লাসগুলো সময়মতো নিন।
  • শিক্ষার্থীদের প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিন।
  • অবশ্যই আপনি কিছু ফ্রী ক্লাস রাখতে পারেন যাতে বিশ্বাস অর্জন করতে পারেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইনিং

স্টুডেন্ট অবস্থায় লেখাপড়ার পাশাপাশি যদি আপনি মনে করেন গ্রাফিক্স ডিজাইনিং শুরু করবেন তবে সে ক্ষেত্রে এটি একটি উত্তম উদ্যোগ। গ্রাফিক্স ডিজাইনিং মূলত আপনার ভবিষ্যতের একটি ইনকাম সোর্স তৈরি করে এবং আপনার দক্ষতা অনেকাংশে বৃদ্ধি করে। গ্রাফিক্স ডিজাইনিং মূলত আপনার জন্য একটি পার্ট টাইম জব হিসেবে ভালো।

আপনি কেন গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখবেন?
  • ক্রিয়েটিভ স্কিল ডেভেলপমেন্ট: এক্ষেত্রে আপনি ভিজুয়াল কমিউনিকেশন শিখবেন।
  • ইনকামের সুযোগ তৈরি: বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং লোকাল প্রজেক্ট বা সোশ্যাল মিডিয়া মারকেটিং ইত্যাদি করে আপনি ইনকামের সুযোগ করে নিতে পারেন।
  • ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার: বিভিন্ন ধরনের ব্র্যান্ডিং মারকেটিং বা ডিজাইন ভিত্তিক কাজ করে আপনি আপনার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে পারেন।
শুরু করার ধাপ:
১. মৌলিক ধারণা সমূহ:
  • আপনি অবশ্যই কালার থিওরি লেআউট ইত্যাদি শিখতে পারেন।
  • আপনি অবশ্যই সহজ মাধ্যমে ইউটিউবে গ্রাফিক্স ডিজাইন বেসিক লিখে সার্চ করে দেখে নিন।
২. টুল শেখা:
  • Adobe Photoshop, Illustrator ইত্যাদি টুলগুলো আপনি ভালোভাবে শিখবেন।
  • অথবা আপনি যদি ফ্রি টুল ব্যবহার করতে চান তবে সেক্ষেত্রে Canva, Photopea, ইত্যাদি শিখতে পারেন।
৩. অনলাইন কোর্স:
  • ফ্রি ক্ষেত্রে: Coursera, YouTube বাংলা এবং ইংরেজি জন্য।
  • পেইড ক্ষেত্রে:Udemy, Skillshare, অনেক সময় আপনি এগুলা ডিসকাউন্টেও পেতে পারেন।
৪. রেগুলারলি প্র্যাকটিস করা:
  • প্রাথমিক অবস্থায় আপনি আপনার নিজের আইডিয়া নিয়ে প্রজেক্ট গুলা তৈরি করবেন এবং বিভিন্ন লোগো পোস্টার এবং সোশ্যাল মিডিয়া ডিজাইন তৈরি করুন।
  • অনলাইন বিভিন্ন প্লাটফর্মে অন্যদের কাজ দেখে দেখে শিখো এবং প্র্যাকটিস করো।
৫. পোর্টফোলিও তৈরি করা:
  • আপনার নিজের তৈরি করার ডিজাইন গুলো গুগল ড্রাইভে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখুন।
  • যেন পরবর্তী সময়ে ক্লায়েন্টকে খুব সহজেই তা দেখাতে পারেন।
৬. যদি সময় হয় তবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা:
  • বিভিন্ন ধরনের অনলাইন প্লাটফর্ম বা একাউন্টে আপনি প্রোফাইল ক্রিয়েট করে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন যেমন: Fiverr, Upwork, 99Designs.

ড্রপ শিপিং ই-কমার্স

লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু সে অবস্থায় আপনি যদি ড্রপ শিপিং ই-কমার্স বিজনেস মডেল করতে চান তবে সেক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। আসুন তাহলে আমরা জেনে নিই ড্রপ শিপিং ই কমার্স:

√ ড্রপ শিপিং কি?
আমরা সাধারণত ড্রপ শিপিং বলতে একটি বিজনেস মডেল প্রক্রিয়াকে বুঝি যেখানে আপনি কোন প্রোডাক্ট স্টক না রেখেই কাস্টমারের কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে সরাসরি সাপ্লায়ার কিংবা যেকোনো একটি মার্কেটপ্লেসে প্রোডাক্ট দিতে পারেন।

√ স্টুডেন্ট হিসেবে কেন ড্রপ শিপিং করবেন!
  • ড্রপ শিপিং ই কমার্স করার জন্য কোন ইনভেন্টরি বা গুদামের প্রয়োজন হয় না।
  • প্রাথমিক পর্যায়ে কম পুঁজি দিয়েই শুরু করা সম্ভব।
  • আপনি ঘরে বসেই মার্কেটিং এবং ম্যানেজমেন্ট পরিচালনা করতে পারবেন।
  • সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হল আপনি আপনার সময় মত এবং স্বাধীনতা অনুযায়ী কাজ করতে পারেন।

শুরু করার ধাপসমূহ:
১. নিশ বা ক্ষেত্র নির্বাচন:
  • এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি এমন একটি নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট বেছে নেবেন যার চাহিদা অনেক বেশি এবং খুবই ইউনিক একটি প্রোডাক্ট।
  • আপনি অবশ্যই কম্পিটিশন ও চাহিদা যাচাই-বাছাই করে গুগল ট্রেন বা টিক টক থেকে করবেন।
২. প্লাটফর্ম নির্বাচন করা:
  • সহজেই পেইড এবং ব্যবহারযোগ্য হলো Shopify.
  • কাস্টমাইজড ভিত্তিক যেগুলো দেখা যায় সাধারণত WooCommerce WordPress.
  • অথবা আপনি বিভিন্ন ধরনের অনলাইন মাধ্যম যেমন: Facebook Shop, Instagram Shop ব্যবহার করেও শুরু করতে পারেন।
৩. সাপ্লায়ার খুঁজুন:
  • বিভিন্ন ধরনের অনলাইন মাধ্যম থেকে পণ্য খোঁজ করুন যেমন: AliExpress, CJ Dropshipping, ইত্যাদি।
  • অবশ্যই আপনি পণ্যের ডেলিভারি সময় রেটিং এবং রিভিউ দেখে বেছে নিবেন পণ্য।
৪. স্টোর ডিজাইন এবং সেটআপ:
  • বিভিন্ন ধরনের মাধ্যমে আপনি আপনার স্টোর ডিজাইন বা সেটআপ করতে পারেন উল্লেখযোগ্য: Shopify, WooCommerce.
  • আপনার ব্র্যান্ডিং ব্যানার এবং লোগো তৈরি করার জন্য Canva ইউজ করুন।
৫. ডিজিটাল মার্কেটিং শিখুন:
  • বিভিন্ন ধরণের অ্যাডস দেখে মার্কেটিং শিখুন যেমন: Facebook Ads, TikTok Ads.
  • আপনার যদি বাজেট থাকে তবে সেক্ষেত্রে ফেসবুকে আপনি ১-২ ডলার অ্যাডস দিয়ে শুরু করুন।
৬. অর্ডার ম্যানেজমেন্ট এবং কাস্টমার সার্ভিস প্রকিয়া:
  • কাস্টমারের সব প্রশ্নের উত্তর নির্ভুল এবং দ্রুত দেওয়ার চেষ্টা করুন।
  • প্রতিটি কাস্টমারের সাথে পলিসি বা ট্রাস্ট ফ্যাক্টর তৈরি করুন।
স্টুডেন্টদের জন্য কিছু চ্যালেঞ্জ:
  • প্রচুর প্রতিযোগিতা ফেস করা।
  • অবশ্যই সঠিক প্রোডাক্ট বেছে না নিলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
  • প্রাথমিক আপনার মার্কেটিং স্কিল যদি না থাকে তবে অর্ডার পেতে সমস্যায় পড়বেন।
প্রয়োজনীয় টিপস স্টুডেন্টদের জন্য:
  • প্রাথমিক পর্যায়ে ছোট স্কেল থেকে কার্যক্রম শুরু করা।
  • প্রথমত ফ্রিতে শেখো তারপর ব্যবসায়ী ইনভেস্ট করো।
  • যেন পড়াশোনার ক্ষতি না হয় তা খেয়াল রাখতে হবে।

ইউটিউব চ্যানেল চালু করা

বর্তমান সময়ে স্টুডেন্ট অবস্থায় লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি যদি আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেল চালু করেন বা উদ্যোগ নেন তবে সে ক্ষেত্রে আপনার ভবিষ্যৎ এবং ক্যারিয়ারের জন্য খুবই উত্তম হতে পারে। আসুন এর সম্বন্ধে আমরা কিছু পরামর্শ জেনে নিই:

১. উদ্দেশ্য নির্ধারণ:
প্রাথমিক পর্যায়ে আপনি যেহেতু ইউটিউব চ্যানেল চালু করবেন সেহেতু আপনার উদ্দেশ্য কি হবে সেটা ঠিক করতে হবে।
  • আপনি পড়াশোনা বিষয়ক কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন।
  • বিভিন্ন ধরনের ব্লগ যেমন স্টুডেন্ট লাইফ ডেইলি রুটিন ইত্যাদি সম্পর্কে।
  • বিভিন্ন মাধ্যমে আপনার স্কিল শেয়ারিং করতে পারেন যথা গ্রাফিক্স ডিজাইনিং ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি প্রভৃতি বিশেষ।
  • এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের বিনোদনমূলক কনটেন্ট যথা কমেডি শর্ট ফিল্ম ইত্যাদি পোস্ট করতে পারেন।
  • সর্বপরি আপনি বিভিন্ন ধরনের টিউটোরিয়াল বা রিভিউ শেয়ার করতে পারেন আপনার ইউটিউব চ্যানেলে।
২. সময় ব্যবস্থাপনা:
  • প্রথমত খেয়াল রাখতে হবে আপনার যেন পড়াশোনার কোনো ক্ষতি না হয়।
  • অন্ততপক্ষে এক থেকে দুই দিন আপনি কনটেন্ট তৈরির জন্য সময় দিন।
  • যদি আপনার পরীক্ষা এবং এসাইনমেন্ট থাকে তবে সেক্ষেত্রে চ্যানেল একটু স্লো ভাবে রান করুন।
৩. সহজ সরঞ্জাম ব্যবহার:
youtube চ্যানেল চালু করতে শুরুতেই আপনি আপনার মোবাইলের ক্যামেরা ব্যবহার করবেন এছাড়াও ফ্রি এডিটিং করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ফ্রি সফটওয়্যার যেমন ক্যাপ কাট ক্যানভা ইত্যাদি ব্যবহার করুন।

৪. কনসিসটেন্সি বজায়:
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টা হলো আপনি যদি নিয়মিত ভিডিও আপলোড না করেন তবে সেক্ষেত্রে আপনার অডিয়েন্স বাড়বে না এই জন্য আপনি একটি সিডিউল ঠিক করুন।

৫. কমিউনিটি তৈরি:
  • আপনার নিকটস্থ বন্ধুদের বলুন আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করার জন্য।
  • অবশ্যই প্রতিটি ভিডিও আপলোড করে তার শেষে দর্শকদেরকে কমেন্ট করতে উৎসাহিত দিন।
  • এক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই অন্য ইউটিউবারদের সাথে যোগাযোগ করুন।
৬. শিক্ষামূলক কনটেন্টের চাহিদা:
বলা যায় যেহেতু আপনি স্টুডেন্ট সো অন্য স্টুডেন্টদের সাহায্য করার মতো কনটেন্ট যদি তৈরি করেন তবে সেক্ষেত্রে তা অধিক জনপ্রিয় হতে পারে। যথা:
  • যেকোনো ধরনের বোর্ড পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পর্কে।
  • ইউনিভার্সিটি টোটাল লাইভ কেমন হবে তার প্রয়োজনীয় টিপস।
  • কিভাবে বিভিন্ন প্রশ্নপত্র বা নোট তৈরি করবেন তা বিষয়ক।
সর্বোপরি আপনি যদি কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে আগ্রহী হন তবে সেক্ষেত্রে আমি আপনাকে কিছু কনটেন্ট আইডিয়া সাজিয়ে দিতে পারি।

ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রয়

স্টুডেন্ট অবস্থায় লেখাপড়ার পাশাপাশি ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রয় এটি একটি দারুণ ব্যবস্থাপনা উদ্যোগ হিসেবে নেওয়া যায়। আসুন আমরা কিছু কার্যকর ধারণা ও পরামর্শ জেনে নিই:

🎯 কেন ছাত্রদের ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রয় করা উচিত?
  • প্রাথমিকভাবে কম পুঁজি দরকার হয়।
  • ডিজিটাল প্রোডাক্ট সাধারণত ঘরে বসেই বিক্রয় করা যায়।
  • ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রয় করার ক্ষেত্রে আপনার স্কিল অনেকাংশের ডেভেলপমেন্ট হয়।
  • এক্ষেত্রে সাধারণত আপনার প্যাসিভ ইনকামের সম্ভাবনা অনেক বেশি তৈরি হয়।
💡 স্টুডেন্টদের জন্য উপযোগী কিছু ডিজিটাল প্রোডাক্ট আইডিয়া:
  • ই-বুক অথবা নোটস বিক্রয়: এক্ষেত্রে আপনি আপনার নিজের পড়া নোটস বা গাইড সমূহ পিডিএফ আকারে বিক্রয় করতে পারেন।
  • কোর্স তৈরি: আপনি আপনার নিজের শেখা বিষয়গুলো যেমন প্রোগ্রামিং গ্রাফিক্স ডিজাইন বিভিন্ন ধরনের ভাষা ইত্যাদি নিয়ে কোর্স বানিয়ে বিক্রয় করতে পারেন।
  • টেমপ্লেট, পোস্টার এবং সিভি টেমপ্লেট: এগুলো সাধারণত আপনি ক্যানভা বা ফটোশপ ইউজ করে ডিজাইন তৈরি করতে পারেন।
  • ডিজিটাল আর্ট অথবা ফটো: এ ক্ষেত্রে বলা যায় ডিজিটাল ড্রয়িং বা ফটোগ্রাফি বিক্রয়।
  • সফ্টওয়ার টুলস বা স্ক্রিপ্ট: বলা যায় এটা ছোট ছোট ডিজিটাল টুলের এক একটি অংশ বিক্রয়।
🧩 সময়ের ব্যবস্থাপনা  (Time management)
  • এক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই আপনার পড়াশোনাটাকে বেশি অগ্রাধিকার দিন আর বিক্রয়টা আপনার পার্ট টাইম হিসেবে রাখুন।
  • প্রতিদিন অন্ততপক্ষে এক থেকে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রয় নিয়ে কাজ করুন।
  • বিভিন্ন মাধ্যমে আপনার কাজগুলো ভাগ করে নিন।
  • অবশ্যই আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া ডিস্ট্রাকশন কমিয়ে দিন।
📦 কিভাবে বিক্রয় করবেন?
  1. আপনার ফেসবুক পেজ অথবা গ্রুপের মাধ্যমে।
  2. ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রয় করার কিছু জনপ্রিয় অনলাইন প্লাটফর্ম যেমন:Gumroad, Payhip.
  3. অন ওয়েবসাইট অথবা ব্লগের মাধ্যমে।
  4. আপনার স্কিলভিত্তিক প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রয় করার জন্য আপনি অনলাইন মার্কেটপ্লেস যথা:Fiverr, Upwork ব্যবহার করুন।
  5. আবার মার্কেটিংয়ের জন্য আপনি Youtube,Tik tok, and Instagram ব্যবহার নিশ্চিত করুন।
✅ পরামর্শ:
  • প্রাথমিক অবস্থায় আপনি ছোট কিছু দিয়ে শুরু করুন।
  • পর্যায়ে ক্রমে আপনি সেখা এবং মান উন্নয়ন করার চেষ্টা করুন।
  • অবশ্যই আপনি কাস্টমার ফিডব্যাক কে বেশি গুরুত্ব দিন।
  • সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কপি করা কনটেন্ট কখনোই বিক্রয় করবেন না।

হোমমেড ফুড ডেলিভারি

আপনি যদি ভাবছেন স্টুডেন্ট অবস্থায় হোমমেড ফুড ডেলিভারি করবেন তবে সেক্ষেত্রে এটি একটি দারুণ উদ্যোগ হতে পারে আপনার জন্য। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যদি আপনি রান্নাই ভালো হন এবং পরিবারের কারো সহায়তা পান সেক্ষেত্রে। এটি প্রাথমিক অবস্থায় আপনার আইয়ের সুযোগ তৈরি করলেও পরবর্তীতে আপনার জীবনের বাস্তব উদ্যোক্তা দক্ষতা ও তৈরি করতে সক্ষম।
নিচে বিস্তারিত বলা হলো:

🍱 কেন হোমমেড ফুড ডেলিভারি ছাতকের জন্য ভালো?
  • প্রাথমিকভাবে খরচ কমে শুরু করা যায়।
  • আপনি আপনার নিজের সময় মত রান্না করতে পারেন।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার অনেকাংশে জনপ্রিয় বিশেষ করে ব্যাচেলর এবং চাকুরীজীবীদের মধ্যে অধিকাংশই।
  • এক্ষেত্রে আপনার লোকাল মার্কেট ধরার সুযোগ সবচেয়ে বেশি থাকে।
🧠 শুরু করার আগে ভাবনীয় বিষয়গুলি:
১. কোন খাবার বিক্রয় করবেন?
  • এক্ষেত্রে আপনি দুপুরের খাবার অথবা রাতের খাবার বিক্রয় করতে পারেন।
  • অধিকাংশ বিকেলের রাস্তায় স্নাক্স সমচা কেক ইত্যাদি বিক্রয় হিসেবে রাখতে পারেন।
  • যেকোনো ধরনের প্রোগ্রাম যেমন বার্থডে কেক বিরিয়ানি এবং স্পেশাল অর্ডার নিতে পারেন।
২. আপনার টার্গেট কাস্টমার কারা?
  • এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের ছাত্র-ছাত্রী হতে পারে।
  • যেকোনো ব্যাচেলর এবং চাকুরীজীবীরা।
  • আপনার লোকাল বাসিন্দারা যারা ঘরের খাবার পছন্দ করে।
৩. কিভাবে অর্ডার নিবেন?
  • এজন্য আপনি whatsapp এবং facebook পেজ অথবা ফোন নম্বর ব্যবহার করুন।
  • অনেকাংশে গুগল ফর্ম অথবা ইনস্টাগ্রাম ডিএম ইউজ করতে পারেন।
৪. ডেলিভারি করবে কে ?
  • এজন্য আপনি নিজে অথবা পরিবার আত্মীয়স্বজনদের সহায়তা নিন।
  • আপনি অনেকাংশে আপনার লোকাল ডেলিভারি সার্ভিস ব্যবহার করতে পারেন।
⚒️ প্রাথমিকভাবে প্রস্তুতি:
  • প্রাথমিক পর্যায়ে আপনি অবশ্যই রান্নার সামগ্রী এবং প্যাকেজিং বক্স সংগ্রহ করুন।
  • পর পর্যায়ক্রমে আপনি ফেসবুক অথবা ইনস্টাগ্রাম পেজ ক্রিয়েট করুন।
  • আপনি আপনার রান্নার স্যাম্পল মেনু অথবা প্রাইজ লিস্ট তৈরি করুন।
  • অবশ্যই আপনার পরিচিত কয়েকজনকে আপনার রান্না ট্রায়াল সার্ভিস দিয়ে ফিডব্যাক নিন।
⏰ সময়ের ব্যবস্থাপনা:
  • আপনার পড়াশোনার সময় বাদ দিয়ে রান্নার জন্য আপনি সময় নির্ধারণ করুন সকাল 9 টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত হতে পারে।
  • রান্না করার আগের রাত থেকে কিছু প্রিপারেশন নিয়ে রাখতে পারেন।
  • আপনি আপনার অর্ডার নেয়ার ডেডলাইন নির্ধারণ করে দিন যেমন রান্না করার ঠিক এক ঘণ্টা আগে যেমন যদি আপনি নয়টা থেকে ১১ টার মধ্যে রান্না করতে চান তবে সেক্ষেত্রে অন্তত দশটার মধ্যে অর্ডার কনফার্ম করা।
💹 মার্কেটিং টিপস:
  • আপনার পরিচিত ব্যক্তি অথবা আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে মার্কেটিং করতে পারেন।
  • আপনার রান্নার এট্রাকটিভ ছবি তুলে পোস্ট করুন।
  • আপনার রান্না বিষয়ক রিভিউ এবং কাস্টমার ফিডব্যাক শেয়ার করুন।
🏷️ মূল্য নির্ধারণ টিপস:
  • এক্ষেত্রে আপনি হিসাব করুন, খাবারের কস্ট+প্যাকেজিং+ডেলিভারি=মূল্য।
  • প্রাথমিকভাবে শুরুতেই একটু কম দাম নিবেন আপনার প্রোমোশনের জন্য।
  • আপনার খাবারের কম্ব মেনু তৈরি করুন এবং সার অথবা অফার দিন খাবারে।
✅ কিছু উদাহরণ:
Lunch box:
  • ভাত+মুরগির তরকারি+ডাল+সালাদ=১৫০ টাকা।
Snacks Combo:
  • চিকেন+কেক+পানীয়=১২ টাকা।

ফটোগ্রাফি করা

আমি বলব স্টুডেন্টস অবস্থায় লেখাপড়ার পাশাপাশি ফটোগ্রাফি করা এটি একটি সৃজনশীল চিন্তাধারা এবং কাজ। হ্যাঁ এটি একটি আয়ের উৎস হিসেবেও বিবেচিত হয়। অনেক ছাত্র ছাত্রীদের পার্ট টাইম ক্যারিয়ার এবং ভবিষ্যৎ পেশার জন্য অনেকাংশে উপযোগী হতে পারে। এ নিয়ে বিস্তারিতভাবে বলা হলো:

📷 ফটোগ্রাফি কেন স্টুডেন্টদের জন্য ভালো?
  • সৃজনশীলতা প্রকাশের সুযোগ তৈরি হয়।
  • ফটোগ্রাফি করে সাধারণত আপনার কাজের সময় তুলনামূলকভাবে ফ্লেক্সিবল হয়।
  • তুলনামূলকভাবে কম খরচ এমন কি আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়েও শুরু করা যায়।
  • আপনার নিকটস্থ অথবা লোকাল বিভিন্ন ক্লায়েন্ট এর মাধ্যমে ইনকাম করা যায়।
🧠 শুরু করার ভাবনীয় বিষয়গুলি:
১. কেমন টাইপের ফটোগ্রাফি করবেন?
  • বিভিন্ন ধরনের ইভেন্ট ফটোগ্রাফি যেমন বিয়ের, জন্মদিনের গেট টুগেদার ইত্যাদি।
  • অনলাইন শপের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট এর ফটোগ্রাফি করা।
  • বিভিন্ন ধরনের স্ট্রিট নেচার এবং পোর্টেট ফটোগ্রাফি।
  • অবশ্যই প্রফেশনাল হেডশট অথবা পাসপোর্ট ফটো প্রভৃতি বিশেষ।
  • অনলাইন মার্কেটপ্লেসে বিক্রয় করার জন্য স্টক ফটোগ্রাফি করতে পারেন।
২. কি দিয়ে শুরু করবেন?
  • অবশ্যই বলব যদি ভাল ক্যামেরা থাকে তাহলে তো ভালই যদি না থাকে তবে সে ক্ষেত্রে আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়েও প্রাথমিকভাবে শুরু করতে পারেন।
  • বিভিন্ন ধরনের অনলাইন সফটওয়্যার যেমন লাইটরুম অথবা ফটো শপ এবং স্নাপশীড দিয়ে ফটো এডিটিং শিখুন।
৩. ক্লায়েন্ট কোথায় পাবেন?
  • ক্লায়েন্ট পাওয়ার জন্য অবশ্যই ফেসবুক পেজ অথবা গ্রুপে পোস্ট দিন আপনার তোলা কিছু ছবি।
  • আবার আপনার নিকটস্থ দোকান অনলাইন শপ কিংবা স্টুডেন্টস ইভেন্ট।
  • বিভিন্ন ধরনের অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং সাইট যথা ফাইভার up work ক্লায়েন্ট পাওয়ার জন্য উপযোগী প্লাট ফরম।
  • আপনার খুব কাছের বন্ধু বান্ধব বা আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে রেফারেন্স করুন।
🎯 ছাত্র হিসেবে ফটোগ্রাফিতে আপনার সময় ব্যবস্থাপনা:
  • এক্ষেত্রে অন্তত সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন শুটিং রাখুন যেমন শুক্রবার অথবা যে কোন ছুটির দিন হতে পারে।
  • অবশ্যই আপনি আপনার পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে এডিটিং করতে পারেন।
  • সই আপনার অগ্রাধিকার সঠিক রাখুন পরীক্ষা এবং আপনার গুরুত্বপূর্ণ ক্লাসের সময় ফটোগ্রাফি থেকে বিরত থাকুন।
🏷️ ইনকাম সম্ভাবনা:
  • বার্থডে অথবা যে কোন ইভেন্ট ফটোগ্রাফির জন্য ১০০০-৪০০০৳
  • বিভিন্ন ধরনের পণ্যের ছবির ক্ষেত্রে প্রতিটি ছবি ১০ টাকা
  • ফ্রিল্যান্সিং এবং প্রতিটি প্রজেক্ট এর জন্য আপনি ৪০$+ 
📢 মার্কেটিং করবেন কিভাবে?
  • মার্কেটিং করার জন্য প্রাথমিক অবস্থায় আপনি ফেসবুক ইনস্টাগ্রামে পোর্টফোলিও পোস্ট করুন।
  • অবশ্যই আপনি আপনার নাম দিয়ে ওয়াটার মার্ক যুক্ত করে ছবি শেয়ার করবেন।
  • বিনামূল্যে অথবা কম খরচে কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে কাস্টমার রিভিউ সংগ্রহ করুন।
✅ টিপস:
  • নিয়মিত ছবি তোলার প্র্যাকটিস করুন এবং বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলে ছবি তোলার চেষ্টা শিখুন বা করুন।
  • ইউটিউব এবং ইনস্টাগ্রাম এ ভালো ফটোগ্রাফারদের ফলো করুন।
  • ক্লায়েন্টদের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলুন।
  • সময় মত ফটো ডেলিভারি এবং প্রফেশনাল আচরণ বজায় রাখার চেষ্টা করুন।

প্রিন্ট অন ডিমান্ড মার্চেন্ডাইজ

প্রিন্ট অন ডিমান্ড POD মূলত একটি ব্যবসায় মডেল যেখানে আপনি ডিজাইন তৈরি করবেন এবং তৃতীয় কোন পক্ষ যেমন প্রিন্ট ফুল টেস্ট প্রিন্ট ইত্যাদি তা টি শার্ট মগ ব্যাক কিংবা স্টিকার ইত্যাদিতে প্রিন্ট করে অর্ডার অনুযায়ী গ্রাহককে তা পৌঁছে দেয়।

👉 প্রিন্ট অন ডিমান্ড এক্ষেত্রে আপনাকে শুধু ডিজাইন আর মার্কেটিং করতে হবে এবং স্টক, প্রিন্ট, শিপিং এসব কিছু একটি নির্দিষ্ট প্লাটফর্ম আপনাকে করে দিবে।

📦 স্টুডেন্টদের জন্য কেন প্রিন্ট অন ডিমান্ড উপযুক্ত?
  • উল্লেখিত ব্যবসায় মূলত পুঁজি ছাড়াও শুরু করা যায়।
  • আপনি ঘরে বসে খুব সহজেই আপনার মোবাইল অথবা ল্যাপটপ দিয়ে কাজ করতে পারেন।
  • প্রিন্ট অন ডিমান্ড মূলত আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং শেখার পথ অনেকটা নিশ্চিত করে দেয়।
  • এক্ষেত্রে উল্লেখিত একটি কথা হচ্ছে ইনকাম যতো বৃদ্ধি পায় সময় তত কম লাগে।
⚒️ প্রিন্ট অন ডিমান্ড কিভাবে শুরু করবেন?
১.🎨 ডিজাইন তৈরি করা:
  • প্রাথমিক অবস্থায় ডিজাইন তৈরি করার জন্য মূলত ক্যানভাস, ফটোশপ, বা এডোবি ইলেস্টেটর ব্যবহার নিশ্চিত করুন।
  • বিশেষ ধরনের ট্রেন্ডি কনসেপ্ট অবশ্যই ব্যবহার করুন:
  • Minimal art
  • Funny Quotes
  • Students life
  • Bangla typography etc.
২.🛍️ প্রিন্ট অন ডিমান্ড  (POD)  platform বেছে নিন
  • আন্তর্জাতিক: আন্তর্জাতিকভাবে মূলত প্রিন্ট অন ডিমান্ডগুলো_Redbubble, TeeSpring, Shopify etc.
  • বাংলাদেশি প্রিন্ট অন ডেলিভারি: মূলত Fabrilife, Merch Hub BD, etc.
৩.🌐 Shop/Page তৈরি করুন:
  • Redbubble TeeSpring যেকোনো একটি সাইটে গিয়ে ফ্রি শপ খুলুন।
  • অথবা আপনি লোকাল ডেলিভারির জন্য Shopify/WordPress+Printful এ শপ খুলুন।
  • তাছাড়াও আপনি ফেসবুক পেজ অথবা ইনস্টাগ্রাম পেজ খুলে লোকাল মার্কেট আয়ত্ত করুন অথবা ধরুন।
৪.📢 মার্কেটিং করুন:
  • মার্কেটিং করার জন্য প্রাথমিক অবস্থায় আপনি instagram, facebook, এবং tiktok এ ডিজাইন এবং মোকআপ সমূহ পোস্ট করুন।
  • নিয়ম অনুসারে পর্যায়ক্রমে হ্যাশ ট্যাগ ব্যবহার করুন যেমন-(e.g. #studentlife #banglashirt)
  • এরপর আপনার বন্ধুবান্ধব নিজস্ব আত্মীয়-স্বজন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচার প্রচারণা করুন।
  • বিভিন্ন অনলাইন পেজের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিন যথা: Influencer/Meme.
🏷️ আই কত হতে পারে এমন?
  • প্রতিটি সেল থেকে আপনি আপনার প্লাটফর্ম এবং প্রোডাক্ট অনুযায়ী $৩-$৯ পর্যন্ত পেতে পারেন।
  • এবং বাংলাদেশে আপনি প্রতিটি টি শার্ট থেকে ৫০-২২০ টাকা পেতে পারেন।
🧠 সময়ের ব্যবস্থাপনা:
  • সময়ের ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থায় অন্তত সপ্তাহে দুই থেকে তিনটি ডিজাইন তৈরি করা যায়।
  • মার্কেটিং এবং অর্ডার ম্যানেজমেন্ট গুলো আপনি ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে বসেই করতে পারবেন।
  • সময় মত আপনার ডেলিভারি নিশ্চিত করার জন্য আপনি পার্টনার প্লাটফর্ম বেছে নিন।
✅ টিপস:
  • যেকোনো ধরনের একটি নিজ নির্ধারণ করুন এবং তাতে যথেষ্ট পরিমাণ ফোকাস করুন যেমন হতে পারে মেডিকেল ছাত্রদের জন্য ফানি কনটেন্ট তৈরি।
  • এমতাবস্থায় আপনি যদি ডিজাইন না করতে পারেন তবে সেই ক্ষেত্রে ফাইবার অথবা ক্যানভা থেকে ডিজাইন তৈরি করে নিতে পারেন।
  • অন্ততপক্ষে চেষ্টা করুন ট্রেন্ড অনুসরণ করার।


অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং 

স্টুডেন্ট অবস্থায় যদি আপনি ভাবেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য তবে সে ক্ষেত্রে আপনার জন্য এটি একটি ভাল ইইনকাম  সোর্স হতে পারে। নিচে এ বিষয়ে কিছু পরামর্শ উল্লেখ করা হলো:

📌 অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কেন স্টুডেন্টদের জন্য ভালো?
  1. ফ্লেক্সিবল সময়: এক্ষেত্রে স্টুডেন্টরা ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে বসে কাজ করতে পারে।
  2. লো ইনভেস্টমেন্ট: মূলত শুরু করার জন্য বড় ধরনের কোন পুঁজির দরকার হয় না।
  3. স্কিল ডেভেলপমেন্ট: এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আপনি মূলত কনটেন্ট ক্রিয়েশন ডিজিটাল মার্কেটিং এবং এস.ই.ও শিখতে পারবেন খুব সহজেই।
⚒️ কিভাবে শুরু করবেন:
১. নিস নির্বাচন করুন: নিজ নির্বাচন মূলত হল আপনি কোন বিষয় নিয়ে মূলত কাজ করতে চান বা পারদর্শী তা ঠিক করা।
২. অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ জয়েন
  • Clickbank
  • Impact
  • Fiverr
  • Amazon
  • বাংলাদেশের জনপ্রিয় হচ্ছে Daraz.
৩. কনটেন্ট তৈরি:
  • ব্লগ অথবা ওয়েবসাইট: আপনি আপনার নিজস্ব ওয়েব সাইটে রিভিউ অথবা টিউটোরিয়াল লিখুন।
  • ইউটিউব YouTube ভিডিও: এক্ষেত্রে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে রিভিউ বা টিউটোরিয়াল ভিডিও তৈরি করুন।
৪. লিংক শেয়ার এবং ইনকাম:
প্রাথমিকভাবে আপনি আপনার প্রতিটি কনটেন্ট এর মধ্যে অ্যাফিলিয়েট লিংক যুক্ত করুন। এমতাবস্থায় কেউ যদি আপনার লিংকে ক্লিক করে কিছু ক্রয় করে তবে সে ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই কমিশন লাভ করবেন।

🔧 গুরুত্বপূর্ণ কিছু টুল:
  • ডিজাইন বানানোর জন্য Canva.
  • ব্লগ চালাতে প্রয়োজনীয় WordPress.
  • কি ওয়ার্ড রিসার্চ এর জন্য Google trends.
  • আপনার লিংক শর্ট করার জন্য Bitly.
⚠️ অবশ্যই মনে রাখবেন:
  • অবশ্যই আপনি প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস এর জন্য সঠিক তথ্য দিন।
  • অযথা কোনরকম কোন মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিবেন না।
  • মনে রাখার একটি বিষয় হল আপনি যদি নিজের ইউজ করা প্রোডাক্ট প্রমোট করেন তবে সেক্ষেত্রে আপনার কনভার্শন বাড়বে।

লেখকের শেষ কথা

সর্বোপরি এটাই বলার চেয়ে ছাত্র জীবন শুধু পড়াশোনার জন্যই নয় বরং ভবিষ্যতের ভিত্তি গড়ার উপযুক্ত একটি সময়। বর্তমান সময়ে প্রযুক্তি এবং ইন্টারনেটের সময় যার মাধ্যমে ঘরে বসেই সীমিত পুঁজি নিয়ে ব্যবসায় এখন আর কোন কঠিন কথা নয়। এক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই আগ্রহ দক্ষতা এবং সঠিক সময়ের ব্যবহার সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। 

মনে রাখতে হবে আপনার ছোট একটি উদ্যোগ ভবিষ্যতের বড় সাফল্যের কারণ হতে পারে। সর্বশেষ কথা হল শুরু করুন আপনার ছোট পুঁজি নিয়ে এবং যদি শেখার মনোভাব আপনার থাকে তাহলে সৎ এবং ধৈর্যশীল অবস্থায় আপনি অবশ্যই সফল হবেনই।





এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আশিক টেক আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটা কমেন্টে রিভিউ করা হয় নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url