ট্রেনের অগ্রিম টিকেট কাটার নিয়ম
স্টুডেন্টস অবস্থায় লেখাপড়ার পাশাপাশি ইউনিক কয়েকটি লাভজনক ব্যবসায়
আইডিয়াসম্মানিত পাঠকগণ আসসালামু-আলাইকুম। আজকে আমরা জানবো কিভাবে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট
কাটতে হয় তা সম্পর্কে। তো ট্রেনের অগ্রিম টিকেট কাটার নিয়ম সম্পর্কে জানার জন্য
সম্পূর্ণ পোস্টটি ভালোভাবে পড়ুন।
পেজ সূচিপত্র:ট্রেনের অগ্রিম টিকেট কাটার নিয়ম
- অগ্রিম টিকেট বিক্রির সময়সীমা
- টিকেট কাটার মাধ্যম
- জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রয়োজনীয়তা
- প্রতিজনের জন্য টিকেট সীমা
- পেমেন্ট পদ্ধতি
- অনলাইন টিকেটের প্রিন্ট/ই- টিকেট
- টিকেট রিফান্ড এবং বাতিল নীতি
- বিশেষ ট্রেন এবং ঈদের
- প্রবীণ নাগরিক এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য নিয়ম
- লেখকের শেষ কথা
অগ্রিম টিকেট বিক্রির সময়সীমা
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে সাধারণত তাদের আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকেট
যাত্রা করার দশ দিন আগে বিক্রয় করে থাকে। তবে এক্ষেত্রে বিশেষ করে ঈদুল আযহার
মত উৎসব উপলক্ষে সময়সূচি গুলোতে কিছু কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়।
ঈদুল আযহা ২০২৫ অগ্রিম টিকেট বিক্রয় করার সময়সূচী:
- বিক্রয়ের সময়কাল: সাধারণত ২১ মে থেকে ২৭ মে ২০২৫ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
- যাত্রার তারিখ: যাত্রার তারিখ অনুযায়ী ৩১ মে থেকে ছয় জন ২০২৫ পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট বিক্রয় করা হবে।
- পূর্বাঞ্চল: ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দুপুর দুইটা থেকে টিকেট বিক্রয় করা হবে।
- পশ্চিমাঞ্চল: রাজশাহী রংপুর এবং খুলনা বিভাগের গেট সকাল আটটা থেকে পাওয়া যাবে।
- ফিরতি যাত্রার টিকেট: ফিরতি যাত্রা টিকেট বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে ৩০ মে থেকে ৫ জুন পর্যন্ত বিক্রয় করা হবে।
আমরা ইতিমধ্যে ওপরে জেনেছি যে বাংলাদেশ রেলওয়ে সাধারণত আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট
যাত্রার ১০ দিন আগে থেকে বিক্রি করে থাকে।
টিকেট কাটার মাধ্যম
বাংলাদেশে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট কাটার জন্য কয়েকটি মাধ্যম নিচে আলোচনা করা
হলো:
১. অনলাইন টিকেট কাটার মাধ্যম:
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে এখন অনলাইনে টিকিট কাটার সুবিধা প্রদান করে
আসছে।
✅ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে:
- অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: eticket.railway.gov.bd বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।
- উক্ত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আপনি একটি একাউন্ট ক্রিয়েট করে লগইন করার মাধ্যমে ড্রেনের নাম তারিখ যাত্রার স্থান এবং গন্তব্য দিয়ে টিকিট কাটতে পারবেন।
✅ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে:
- মোবাইলে আপনার play store থেকে rail sheba App ডাউনলোড করে টিকেট কাটতে পারেন।
- মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে টিকেট কাটা ফেরত দেওয়া এবং যাত্রার সময়সূচী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং দেখতে পারবেন।
২. স্টেশনে গিয়ে সরাসরি টিকেট কাটা:
- আপনি আপনার নিকটবর্তী স্টেশনে গিয়ে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট কাটতে বা কিনতে পারেন।
- এক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখতে হবে সাধারণত ১০ দিন আগে থেকে অগ্রিম টিকেট কেনা যায় (বিশেষ ছুটির সময় তা ব্যতিক্রম হতে পারে অন্তত)।
- অনলাইনে টিকিট কাটার জন্য আপনার nid কার্ড নিয়ে গেলে সবচেয়ে বেশি ভালো হয়।
আগে এসএমএসের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে ট্রেনের টিকেট কাটার ব্যবস্থা ছিল
তবে বর্তমান সময়ে হয়তোবা সেটা সীমিত সংখ্যকভাবে চালু আছে। মিষ্টি খাওয়ার
জন্য আপনি অবশ্যই বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে হেল্প নিতে
পারেন।
অতিরিক্ত টিপস:
- সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য একটি কথা হলো ছুটির আগে অবশ্যই টিকেট দ্রুতভাবে শেষ হয়ে যায়।
- আপনার টিকেট কাটা সম্পন্ন হলে এসএমএস এবং ইমেইলের মাধ্যমে কনফার্মেশন পাবেন।
- ধরুন আপনি অনলাইনে টিকেট কেটেছেন তবে সেক্ষেত্রে যাত্রার সময় আপনি আপনার টিকেটের প্রিন্ট কপি বা ডিজিটাল কপি অবশ্যই সঙ্গে রাখুন।
জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রয়োজনীয়তা
বর্তমান সময়ে এসে বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী ট্রেনের অগ্রিম টিকিট
কাটার জন্য অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্র nid, জন্ম নিবন্ধন সনদ, এবং পাসপোর্ট
সঙ্গে থাকা বাধ্যতামূলক আইন। এ নিয়মটি অনলাইনে টিকেট কাটা এবং যেভাবেই হোক সব
মাধ্যমেই প্রযোজ্য।
✅ নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয়তা:
- জাতীয় পরিচয় পত্র NID : প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীদের নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজন।
- জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র: যাদের বয়স ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সি এক্ষেত্রে তাদের বাবা-মায়ের নাম এবং এনআইডি দিয়ে নিবন্ধন কনফার্ম করা যায়।
- পাসপোর্ট: বিদেশী নাগরিকদের নিবন্ধনের জন্য প্রযোজ্য।
নিবন্ধন এবং টিকেট কাটার ধাপসমূহ:
- ওয়েবসাইট বা অ্যাপের মাধ্যমে: eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইট অথবা Rail sheba অ্যাপস।
- নিবন্ধন:NID, জন্ম নিবন্ধন নম্বর, জন্মতারিখ, মোবাইল নম্বর, এবং আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রদান করার মাধ্যমে আপনার নিবন্ধন সম্পূর্ণ করা হয় বা করুন।
- ভেরিফিকেশন: উল্লেখিত ওপরে তথ্যগুলো সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে আপনার নিবন্ধন সম্পন্ন হবে।
- টিকেট ক্রয়: এক্ষেত্রে আপনার নিবন্ধন সফল হওয়ার পর আপনি ট্রেন তারিখ এবং আসন নির্বাচন করার মাধ্যমে টিকেট ক্রয় করুন।
ভ্রমণের সময় কিছু করণীয়:
- পরিচয় পত্র বহন: এক্ষেত্রে ট্রেনে যাত্রার সময় অবশ্যই আপনি আপনার নিবন্ধিত এনআইটি জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং পাসপোর্ট এর একটি কপি আপনার সঙ্গে রাখুন। এটি আপনার টিকেট যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজন হতে পারে।
- টিকিটের সাথে পরিচয় পত্রের মিলকরন: এক্ষেত্রে যদি টিকেটে থাকা নাম এবং পরিচয় পত্রের তথ্য অমিল থাকে তবে সেই যাত্রীকে টিকেটবিহীন যাত্রী হিসেবে গণ্য করা হতে পারে।
প্রতিজনের জন্য টিকেট সীমা
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তিক প্রতি ব্যক্তির জন্য ট্রেনের টিকেট
কেনার জন্য সীমা নির্ধারিত করেছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেলওয়ের নির্ধারিত নিয়ম
অনুসারে:
অনলাইনে টিকিট কিনলে:
- অনলাইনে টিকেট কিনলে প্রতিব্যক্তি সর্বোচ্চ চারটি টিকেট কিনতে পারবে প্রতিদিনের জন্য।
- একের অধিক যাত্রার ক্ষেত্রে ভিন্ন তারিখ এবং ভিন্ন গন্তব্যের টিকেট যদি কিনতে চান তবে সেক্ষেত্রে প্রতিবার চারটির বেশি টিকেট আপনি কিনতে পারবেন না।
- অফলাইনে স্টেশনে এসে টিকেট কিনলেও একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ চারটি টিকেট কিনতে পারবেন একদিনের জন্য।
- যেকোনো উৎসব এবং ঈদ বা বিশেষ মৌসুমে টিকেট ক্রয়ের সীমা পরিবর্তন হতে পারে।
পেমেন্ট পদ্ধতি
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট কাটার পেমেন্ট পদ্ধতি খুব সহজ
এবং আধুনিক। আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল অথবা অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে
অগ্রিম টিকেট কেটে তার পেমেন্ট সহজেই করতে পারেন। নিচে কিছু পেমেন্ট পদ্ধতি
আলোচনা করা হলো:
ইতিমধ্যেই আমরা জেনেছি কিভাবে ট্রেনের টিকেট কাটতে হয় বা কোন ওয়েবসাইট থেকে
ট্রেনের টিকেট পাওয়া যায় চাইলে তা ওপরে দেখে নিতে পারেন আবার।
🏷️ ট্রেনের টিকেট কেটে পেমেন্ট পদ্ধতি:
টিকেট কাটার সময় সাধারণত আপনি নিচের যেকোনো একটি পেমেন্ট পদ্ধতি অবলম্বন বা
বেছে নিতে পারেন-
১. Mobile Financial Services:
১. Mobile Financial Services:
* Bkash
* Nagad অথবা
* Rocket এর যেকোনো একটি মাধ্যম আপনি বেছে নিতে পারেন।
২. Credit/Debit Card:
*Visa, Master card, ইত্যাদি যেকোনো একটি কার্ড আপনি ব্যবহার করতে
পারেন।
৩. Internet Banking:
*অনলাইন ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে কিছু সংখ্যক নির্দিষ্ট ব্যাংকের
ইন্টারনেট ব্যাংকিংও অনেকাংশের সাপোর্ট করে থাকে।
✅ পেমেন্ট প্রকিয়া সংক্ষিপ্ত:
- এজন্য অবশ্যই আপনি প্রথমে ওয়েবসাইট বা অ্যাপে লগইন করুন।
- অবশ্যই আপনি আপনার যাত্রার তথ্য যেমন স্টেশন তারিখ ক্লাস এবং ট্রেন উল্লেখ করুন।
- এরপর পর্যায়ক্রমে আসন নির্বাচন করার মাধ্যমে প্রসিড টু পে বাটনে ক্লিক করুন।
- তারপর আপনি আপনার পছন্দমত পেমেন্ট অপশন সিলেক্ট বা নির্বাচন করুন।
- আপনি আপনার প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে পেমেন্ট সম্পন্ন করুন।
- আপনার পেমেন্ট সফল হওয়ার সাথে সাথেই আপনি টিকেট কনফার্মেশন এস.এম.এস পেয়ে যাবেন।
অনলাইন টিকেটের প্রিন্ট/ই- টিকেট
ট্রেনের অগ্রিম অনলাইন টিকিটের জন্য টিকেটের প্রিন্ট বা ই টিকেট ডাউনলোড করার
জন্য আপনি নিচের ধাপগুলো পর্যায়ক্রমে অনুসরণ করুন:
📌বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকেট প্রিন্ট অথবা ই টিকেট ডাউনলোড করার উপায় বা
ধাপসমূহ:
✅ অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ
👉
https://eticket.railway.gov.bd
বাংলাদেশ রেলওয়ে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।
✅ আপনার অ্যাকাউন্ট লগইন করুন
- আপনার অ্যাকাউন্ট লগইন করার জন্য আপনার রেজিস্টার কৃত মোবাইল নম্বর এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন সম্পন্ন করুন।
- এক্ষেত্রে যদি ওটিপি কোড চাই তবে আপনার মোবাইলে আসা কোড দিয়ে তা নিশ্চায়ন করুন।
- এখানে আপনি পূর্বে যে টিকেট বুক করে রেখেছেন তা দেখতে পারবেন।
- আপনি অবশ্যই প্রতিটি ক্রিকেটার পাশে ডাউনলোড বা প্রিন্ট অপশন দেখতে পাবেন ডাউনলোড করার জন্য বা প্রিন্ট দেওয়ার জন্য।
- পর্যায়ক্রমে আপনি ক্লিক করে পিডিএফ আকারে টিকেট ডাউনলোড করতে পারবেন আবার সরাসরি প্রিন্ট করতে পারবেন।
- এক্ষেত্রে আপনি আপনার ফোন ব্যবহার করে রেল সেবা rail sheba অ্যাপ ডাউনলোড করার মাধ্যমে ও টিকেট দেখতে অথবা ডাউনলোড করতে পারবেন খুব সহজেই।
⚠️ গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা:
- কি টিকেটের প্রিন্ট অথবা মোবাইলে সংরক্ষিত সব কপি দেখিয়েই আপনি ট্রেনে যাত্রা করতে পারবেন।
- যেদিন ভ্রমণ করবেন অবশ্যই আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র nid সাথে রাখবেন।
টিকেট রিফান্ড এবং বাতিল নীতি
সাধারণত বাংলাদেশ রেলওয়ের অগ্রিম টিকেট বাতিল এবং রিফান্ড বাংলাদেশ রেলওয়ের
নির্দিষ্ট সময়সীমা এবং টিকেটের ধরন অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। নিচে
বিস্তারিত নীতিমালা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
‼️ রিফান্ড নীতিমালা:
⏰ সময় অনুযায়ী বাতিল রিফান্ড
- ৪৮ ঘণ্টা বা তার বেশি সময়: এক্ষেত্রে উক্ত সময়ের মধ্যে পূর্ণ ডিফল্ট প্রদান করা হয় তবে সামান্য একটি সার্ভিস চার্জ কেটে রাখা হয়।
- ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা আগে: এক্ষেত্রে উক্ত সময়ের মধ্যে ৭৫% রিফাত প্রদান করা হয়।
- ১২ থেকে ২৪ ঘন্টা আগে: উল্লেখিত যে ৫০% রিফান্ড প্রদানযোগ্য।
- ৬ থেকে ১২ ঘন্টা আগে: ২৫% রিফান্ড প্রদানযোগ্য।
- ছয় ৬ ঘন্টার কম সময়ে আগে: এক্ষেত্রে সাধারণত কোনরকম রিফান্ড প্রদান করা হয় না।
উল্লেখ্য যে যাত্রার সময় ট্রেন মিস করলে কোন কারণে টিকেটের কোন রিফান্ড প্রদান
করা হয় না।
সার্ভিস চার্জ:
বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রতিটি রিফান্ডের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সার্ভিস চার্জ
কেটে নেয় যা টিকেটের শ্রেণী এবং যাত্রা অনুযায়ী ভিন্ন হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে
উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে এসি কোচের জন্য যদি 50 টাকা প্রথম শ্রেণীর জন্য ২০
টাকা এবং অন্যান্য শ্রেণির জন্য 15 টাকা কেটে নেওয়া হয়।
⚒️ টিকেট বাতিল প্রকিয়া:
🎟️ কাউন্টার থেকে কেনা টিকেট:
- এক্ষেত্রে আপনি যে স্টেশন থেকে টিকিট ছেড়েছে সেই স্টেশনে যান।
- অবশ্যই আপনি মূল টিকিট এবং একটি বৈধ পরিচয় পত্র আপনার সঙ্গে নিয়ে নিন।
- পর্যায়ক্রমে আপনি রিফান্ড কাউন্টারের টিকেট জমা দিয়ে দিন।
- এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী রিফান্ড সংগ্রহ করুন।
🌐অনলাইনে কেনা টিকেট
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে অনলাইন টিকেট বাতিলের কোন সুযোগ সুবিধা প্রদান
করে না। যদি আপনি অনলাইনে টিকেট ক্রয় করেন এবং তা ফেরত দিতে চান তবে আপনাকে
নির্ধারিত ষ্টেশনে এসে ওপরে উল্লেখিত নিয়ম অনুযায়ী তা ফেরত দিতে হবে বা
অনুসরণ করতে হবে।
বিশেষ ধরনের পরিস্থিতিতে রিফান্ড:
যদি কোন কারণবশত ট্রেন চলাচলের সময় বাতিল হয় যেমন যেকোনো ধরনের দুর্যোগ বা
ধর্মঘট হতে পারে এক্ষেত্রে যাত্রীরা পূর্ণ রিফান্ড পাওয়ার জন্য অধিকারী হন।
এতে করে টিকেটের সম্পূর্ণ অর্থ যাত্রীদের ফেরত দেওয়া হয়ে থাকে।
বিশেষ ট্রেন এবং ঈদের
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে ঈদ উল আযহা উপলক্ষে বিশেষ ট্রেন এবং অগ্রিম
টিকেট বিক্রির বিস্তারিত পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে। এক্ষেত্রে এবারের
ঈদুল আযহার ঈদ যাত্রা শুরু হবে ৩১ মে থেকে এবং ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ধরা হয়েছে
৭ জুন।
🚇 বিশেষ ট্রেন এবং পশুবাহী ট্রেন:
ঈদ উপলক্ষে সাধারণত অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক
দশটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও কোরবানির পশু আনা নেওয়া বা
পরিবহনের জন্য তিনটি ক্যাটেল স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে।
📌 গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- এক্ষেত্রে অগ্রিম টিকেট শুধুমাত্র আপনারা অনলাইনে পাবেন।
- প্রতি ব্যক্তির জন্য সর্বোচ্চ চারটি টিকেট কেনা যাবে।
- উল্লেখযোগ্য যে অগ্রিম টিকেট বাতিল বা রিফান্ডের কোনো ধরনের কোনো সুযোগ থাকবে না।
- ট্রেনে যাত্রার দিন ট্রেনের আসনের অতিরিক্ত ২৫ পার্সেন্ট স্ট্যান্ডিং টিকেট আপনি নির্ধারিত স্টেশন এর কাউন্টার থেকে কিনতে পারবেন।
প্রবীণ নাগরিক এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য নিয়ম
বাংলাদেশ রেলওয়েতে প্রবীণ নাগরিক এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য টিকেট
সংক্রান্ত কিছু বিশেষ সুবিধা রয়েছে নিচে তা বিস্তারিতভাবে বলা হলো:
🧓 প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ট্রেনের টিকেটের নিয়ম:
- ছাড়ের পরিমাণ: এক্ষেত্রে যদি ষাট বছর বা তার বেশি বয়স হয়ে থাকে তবে নাগরিকরা ট্রেনের টিকেটে ৫০% পর্যন্ত ছাড় পেতে পারেন।
- যোগ্যতা: এক্ষেত্রে অবশ্যই বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে এবং বয়স ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে হতে হবে।
- প্রয়োজনীয় নথি বা কাগজপত্র: অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্র বা অন্য কোন বৈধ নথিপত্র থাকা বাধ্যতামূলক।
- টিকেট কাটার পদ্ধতি: ওপরে উল্লিখিত ছাড় সাধারণত রেল স্টেশনে সরাসরি টিকেট কাটার সময় প্রযোজ্য হবে। অনলাইনে টিকিট কাটাবার রেল সেবা অ্যাপের মাধ্যমে উক্ত ছাড় প্রযোজ্য নয়।
♿ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ট্রেনের টিকিটের নিয়ম:
- ছাড়ের পরিমাণ: প্রতিবন্ধী ব্যক্তি রাও ট্রেনের টিকেট কাটার ওপর ৫০% পর্যন্ত ছাড় পেয়ে থাকেন।
- যোগ্যতা: সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বৈঠক প্রতিবন্ধী কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক।
- টিকেট কাটার পদ্ধতি: উল্লেখিত সারসমূহ শুধুমাত্র স্টেশনে গিয়ে সরাসরি টিকিট কাটার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অনলাইনের মাধ্যমে উক্ত ছাড় পাওয়া সম্ভব নয়।
- প্রয়োজনীয় নথি বা কাগজ: অবশ্যই আপনাকে প্রতিবন্ধী কার্ডের অনুলিপি সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে।
⚠️ গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ:
- অনলাইনে বুকিং: অবশ্যই মনে রাখার একটি বিষয় হলো প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বা প্রবীণ ব্যক্তিদের জন্য অনলাইনে টিকেট কাটার সময় কোনোভাবেই কোন ধরনের ছাড় প্রযোজ্য নয়।
- আসন বরাদ্দ: মনে রাখার একটি বিষয় হলো প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ট্রেনে নির্দিষ্ট কোন আসনের বরাদ্দ ব্যবস্থা নেই।
📝 কিছু পরামর্শ
- প্রবীণ নাগরিকদের জন্য: অবশ্যই টিকেট কাটার সময় আপনার বয়স এবং তা প্রমাণের জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র nid আপনার সাথে করে কাউন্টারে নিয়ে আসবেন।
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য: অবশ্যই সরকার কর্তৃক প্রদত্ত প্রতিবন্ধী কার্ডের অনুলিপি টিকেট কাটার সময় স্যারের বিষয় উল্লেখ করার জন্য সঙ্গে রাখুন।
লেখকের শেষ কথা
বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট কাটা এখন যাত্রীদের জন্য সময়
বাঁচানো এবং ভিড়ের ঝামেলা এড়ানোর একটি উপযোগী ও কার্যকর একটি উপায় হিসেবে
ধরা যায়। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র প্রবীণ নাগরিক এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তি যারা আছে
তাদের টিকেট কাটার ছাড়ের সুবিধা নেওয়ার জন্য শুধুমাত্র কাউন্টারে এসে টিকেট
কাটতে হবে। সর্বোপরি একটি কথা হলো প্রতিটি যাত্রী আপনারা নির্ধারিত সময়ের আগে
আপনি আপনার টিকেট সংগ্রহ করে আপনার যাত্রা কে নিশ্চিত করুন।
আশিক টেক আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটা কমেন্টে রিভিউ করা হয় নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url