গুগল এডসেন্স কি এবং কিভাবে এপ্রুভ করাবেন?
বাড়িতে ব্যায়াম করার সেরা উপকরণ ২০২৫গুগল এডসেন্স হলো গুগলের একটি বিজ্ঞাপন সেবা ওয়েবসাইট ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে অর্থ উপার্জন করা যায় চলুন আজকে জেনে নেওয়া যাক কিভাবে গুগল এডসেন্স এপ্রুভ করাবেন।
পেজ সূচিপত্র: গুগল এডসেন্স কি এবং কিভাবে এপ্রুভ করাবেন?
- গুগল এডসেন্স কি
- গুগল এডসেন্স কিভাবে কাজ করে
- এডসেন্স পাওয়ার জন্য যে বিষয়গুলি খেয়াল রাখতে হবে
- কোন কোন বিষয়ে এডসেন্স আটকে দেয় এবং রিজেক্ট হয়
- গুগল এডসেন্স দ্রুত এপ্রুভ পাওয়ার টিপস
- প্রয়োজনীয় পেজ ও SEO বিষয়ক প্রস্তুতি
- এডসেন্সের জন্য যোগ্যতা ও শর্ত
- লেখক এর শেষ মন্তব্য
গুগল এডসেন্স কি
গুগল এডসেন্স হলো গুগলের একটি বিজ্ঞাপন মাধ্যম যা সাধারণত ওয়েবসাইট বা ব্লগ
ইউটিউব চ্যানেল মালিকদের তাদের কনটেন্টের বিজ্ঞাপন দেখে অর্থ উপার্জনের সুযোগ
করে দেয় গুগল বর্তমানে ডিজিটাল যুগে অনলাইন থেকে আয় করার অসংখ্য মাধ্যম
রয়েছে তার মধ্যে হল গুগল এডসেন্স অন্যতম ও জনপ্রিয় বিশ্বাসযোগ্য একটি
প্ল্যাটফর্ম যারা ব্লগ ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল চালান তাদের জন্য (google)
এডসেন্স আয়ের একটি সহজ ও কার্যকরী মাধ্যম।
গুগল এডসেন্স কিভাবে কাজ করে
গুগল এডসেন্স এমন একটি মাধ্যম যার মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে গ্রাহকদের আগ্রহ
বাড়িয়ে তোলে গুগল এডসেন্স এমনভাবে কাজ করে যেন বিজ্ঞাপন দাতাদের তাদের পণ্য
বিজ্ঞাপন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করতে পারে যার মাধ্যমে আপনার আয় হবে,
আপনি যখন আপনার ওয়েবসাইটে এডসেন্স কোড যুক্ত করবেন। তখন (google) সংখি ওভাবে
আপনার কনটেন্ট অনুযায়ী প্রাসঙ্গিক বিজ্ঞাপন দেখাবে এবং যে কেউ যদি সে
বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে তখন আপনি কিছু অর্থ উপার্জন করবেন
আই এর পরিমাণ নির্ধারণ করে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর
সংখ্যা বিজ্ঞাপনের ক্লিকের হার বিজ্ঞাপন দাতাদের বিড মূল্য ইত্যাদি। গুগল
এডসেন্স নতুন ও অভিজ্ঞ অনলাইন উদ্যোক্তাদের জন্য একটি দুর্দান্ত আয়ের সুযোগ
যদি আপনার একটি মানসম্মত ওয়েবসাইট থাকে, এবং আপনি নিয়মিত মৌলিক কনটেন্ট তৈরি
করেন করতে পারেন তবে গুগল এডসেন্স হতে পারে আপনার অনলাইনের একটি উৎস।
এডসেন্স পাওয়ার জন্য যে বিষয়গুলি খেয়াল রাখতে হবে
এডসেন্স পাওয়ার জন্য যে বিষয়গুলি খেয়াল রাখতে হবে। গুগল এডসেন্স অনলাইন
আয়ের অন্যতম ও সহজ জনপ্রিয় মাধ্যম তবে গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রু পাওয়ার জন্য,
আজকাল গুগল এখন অনেক বেশি কঠোরভাবে ওয়েবসাইট বা ব্লগ যাচাই করে দেখে তাই যে
কোন ওয়েবসাইটে এডসেন্স পাওয়ার জন্য আপনাকে আগে ভালো করে ওয়েবসাইটে যাচাই করে
নিতে হবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেয়াল রাখা প্রয়োজন চলুন আজকে জেনে নেই
বিষয়গুলি কি কি
(Google) মানসম্মত ও মৌলিক কন্টেন্ট বেশি চাহিদা রয়েছে এড সেন্টার সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ সত্য হলো আপনার ওয়েবসাইটে মানসম্মত ও মৌলিক কনটেন্ট থাকতে হবে
গুগল কপিকৃত বা অন্য কোথাও থেকে নকল করা কনটেন্ট যদি আপনার ওয়েবসাইটে থাকে
তাহলে আপনার প্রতিটি লেখা যেন পাঠকের জন্য তথ্যবহুল ও নির্ভুল বা এবং নিজের সেই
স্টাইলে লেখা হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কনটেন্টে যদি বানান ভুল অসম্পূর্ণ
তথ্য বা প্রাসঙ্গিক লেখা থাকে তাহলে গুগল এডসেন্স রিজেক্ট হতে পারে।
খেয়াল রাখতে হবে ওয়েবসাইটটি দেখতে পেশাদার হওয়া জরুরী খুব বেশি বিজ্ঞাপন
থাকলে ব্যবহারকারীদের খারাপ লাগতে পারে যা গুগল পছন্দ করে না। ভাই পরিষ্কার
নেগেটিভ রেস্পন্সিবল ডিজাইন ও দ্রুত লোডিং ওয়েবসাইট এডসেন্স এপ্রুভ এর
সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। প্রাইভেসি পলিসি গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার
জন্য আপনার ওয়েবসাইটে অবশ্যই,
About us ,Privacy policy ,Terms and conditions, contact us এই সমস্ত
পেজ থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কোন কোন বিষয়ে এডসেন্স আটকে দেয় এবং রিজেক্ট হয়
গুগল এডসেন্স সাধারণত যেসব কারণে আপনার একাউন্ট রিজেক্ট করে দেয় বা এপ্রুভাল সম্পূর্ণ আটকে দেয় তার মধ্যে প্রধান কিছু কারণ নিচে তুলে ধরা হলো:
১. অযোগ্য কনটেন্ট :
এডসেন্স নিচে উল্লেখিত কনটেন্ট গুলো সাধারণভাবে অনুমোদন করে না।
- অশ্লীল এবং প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট: যেকোনো ধরনের খারাপ কনটেন্ট যেমন সেটা হতে পারে pornography, nudity, etc.
- কপিরাইট ভঙ্গকারী: সাধারণভাবে যে করতেন অন্যের থেকে চুরি করে লেখা বা আপলোড করা হয় সেইটা।
- সহিংসতা হিংসা-বিদ্বেষ মূলক যেকোনো ধরনের বক্তব্য।
- মাদকদ্রব্য সেবন বা অবৈধ দ্রব্য সংক্রান্ত যেকোনো কনটেন্ট।
- হ্যাকিং সংক্রান্ত যাবতীয় সকল কনটেন্ট।
- মিথ্যাবাদ বিভ্রান্তিকর এবং জুয়া ও ক্যাসিনো মূলক সকল কনটেন্ট।
২. কনটেন্টের পরিমাণ এবং মান:
- কনটেন্ট লেখার পরিমাণ খুব কম বা যদি পাতলা হয় এমন কিছু।
- এডিটিং ছাড়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি যাবতীয় কনটেন্ট।
- যেকোনো ধরনের আসল মান ব্যবহারকারীর উপকার করে না এমন সকল কনটেন্ট সমূহ।
৩. ওয়েবসাইট অথবা ব্লকের ডিজাইন ও ব্যবহারযোগ্য:
- নেগিভিশন অনেকাংশে দুর্বল বা সাইটে ঘোরাঘুরি অনেক আছে কঠিন হলে।
- পর্যায়ক্রমে যদি ভাঙ্গা লিংক অথবা পেজ ভুল হয়।
- মোবাইল এক্ষেত্রে ফ্রেন্ডলি না।
- উল্লেখযোগ্য হলো কপাট এবং অতিরিক্ত অ্যাডসমূহ।
৪. প্রাইভেসি পলিসি অভাব:
- সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য একটি বিষয় হলো অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রভালের জন্য Privacy Policy, About, Contach ইত্যাদি অবশ্যই থাকা প্রয়োজন।
৫. ট্রাফিক মান:
- এক্ষেত্রে অবশ্যই ভুয়া অথবা বট ট্রাফিক।
- যেকোনো ধরনের নিষিদ্ধ ট্রাফিক সোর্স যথা হতে পারে পেইড ক্লিক বা অটোমেটেড ট্রাফিক রুল প্রভৃতি।
৬. ডোমেইনের বয়স অথবা রেপুটেশন:
- এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য একটি বিষয় হলো যদি নতুন ডোমেইন হয় তবে অনেক সময় বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণ দিতে হয়।
- আবার যদি এমন হয় যে আগে এডসেন্স কিন্তু নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ডোমেইন তবে সেই ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হয়।
গুগল এডসেন্স দ্রুত এপ্রুভ পাওয়ার টিপস
গুগল এডসেন্স দ্রুত ভাবে অ্যাপ্রুভ পাওয়ার কিছু কার্যকরী উপায় নিচে আলোচনা করা হলো:
১. উন্নত মানের কনটেন্ট তৈরি করা:
- খুবই ইউনিক এবং অন্য কোথাও নেই এমন তথ্যবহুল কনটেন্ট লিখুন।
- অবশ্যই চেষ্টা করবেন প্রতিটি পোস্টে কমপক্ষে যেন ৬০০ থেকে ৮০০ শব্দ রাখা যায়।
- উল্লেখযোগ্য হলো কনটেন্ট গ্রামার এবং বানান সঠিক রাখা।
২. ওয়েবসাইট অথবা ব্লগ ডিজাইন পরিষ্কার এবং প্রফেশনাল রাখা:
- আপনি এমন এক ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করুন যাতে সহজেই নেগীবেশন রেস্পন্সিবল ডিজাইন এবং খুবই ফ্রেন্ডলি এবং দ্রুতভাবে লোডিং নেয়া।
- গুগল এডসেন্স পাওয়ার জন্য আপনার পেইজে যুক্ত করুন About, Contact, privacy policy etc.
৩. অন্তত ১৫ থেকে ২০টি মানসম্মত পোস্ট রাখা:
- অবশ্যই আপনার সাইটে পর্যাপ্ত কনটেন্ট থাকা আবশ্যক যেন গুগল বুঝতে পারে যে এটি একটি অ্যাক্টিভ ওয়েবসাইট এবং বর্তমানে চালু আছে।
৪. কপিরাইট ফ্রি, ইমেজ এবং ভিডিও ব্যবহার:
- সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য একটি বিষয় হলো যদি আপনার কনটেন্ট কপিরাইট হয়ে থাকে তবে তার রিজেক্ট হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
৫. ট্রাফিক:
- বর্তমান সময়ে গুগল এডসেন্স পেতে ট্রাফিক যদিও জরুরী না তবে কিছু অর্গানিক ট্রাফিক থাকলে আপনার রিভিউ পেতে অনেক সহায়তা হয়।
৬. ডোমেইন বয়স:
- গুগলের মতে কিছু দেশ আছে যেখানে ৬ মাস বয়সী পুরনো ডোমেইন বেশি প্রাধান্য পায়,যেমন ভারত পাকিস্তান ইত্যাদি। তবে এ ক্ষেত্রে আমাদের দেশে তথা বাংলাদেশের সাধারণত নতুন নতুন সাইট গুলোতেও এপ্রুফ মিলে যদি আপনার কনটেন্ট ভালো হয় তবেই।
৭. নিয়ম লঙ্ঘন না করা:
- মনে রাখতে হবে যেন কোন ধরনের কোন প্রকার অবৈধ কনটেন্ট যেমন হতে পারে হ্যাকিং, পর্নগ্রাফি, মাদক সংক্রান্ত, ইত্যাদি পোস্ট না করার।
৮. সাইট সাবমিট করা Google Search Console এ
- উল্লিখিতভাবে প্রযোজ্য যে এটি গুগলের কাছে আপনার সাইট পরিচিত করার জন্য খুবই জরুরী উপায় বা মাধ্যম।
প্রয়োজনীয় পেজ ও SEO বিষয়ক প্রস্তুতি
গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভ পাওয়ার জন্য আপনার সাইটে কিছু প্রয়োজনীয় পেজ এবং এসইও SEO (Search Engine Optimization) সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বিষয়ক প্রস্তুতি থাকা আবশ্যক। নিচে বিস্তারিত বলা হলো:
প্রয়োজনীয় পেজসমূহ:
১. About Us -page
- প্রাথমিকভাবে আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কিত বিস্তারিত সকল তথ্য দিন।
- কে আপনি এবং কেন ওয়েবসাইট শুরু করেছেন আপনার লক্ষ্য কি এসব বিষয় ওয়েবসাইটে উল্লেখ করুন সঠিকভাবে।
২.Contact Us- page
- কন্টাক্ট আস অর্থ ব্যবহারকারীরা যেন সহজে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারে।
- অবশ্যই একটি ফর্ম অথবা email এবং যদি পারেন সোশ্যাল মিডিয়া লিংক যুক্ত করুন।
৩.Privacy Policy -page
- প্রাইভেসি পলিসি google এডসেন্সের জন্য খুবই জরুরী।
- কিভাবে আপনি ব্যবহারকারী তথা ইউজারদের তথ্য সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ করেন তা ইস্পষ্টভাবে সাজিয়ে লিখে রাখুন।
- আপনি চাইলেই অনলাইন থেকে ফ্রি প্রাইভেসি পলিসি জেনারেটর ইউজ করতে পারবেন।
৪. Disclaimer -page
- যেকোনো ধরনের কনটেন্ট এর জন্য আপনি আদৌও দায়ী কিনা এবং কোন ক্ষতির তাই আপনার নয় এমন ধরনের বার্তা দিয়ে রাখুন।
✅SEO বিষয়ক বেসিক প্রস্তুতি:
১.On page SEO:
- Title tag: আপনার করা প্রতিটি পোষ্টের জন্য ইউনিক কিওয়ার্ড এবং শিরোনাম অবশ্যই যুক্ত করুন।
- Meta description: প্রতিটি পোস্টে আপনি কাস্টম মেটা ডেসক্রিপশন ইউজ করুন।
- Heading tags H1, H2,H3: হেটিং ট্যাক্স গুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করুন এবং মনে রাখবেন h1 একবারই ব্যবহার করা যাবে।
- Image SEO: ইমেজের মধ্যে আপনি ওয়ালটার ট্যাগ ব্যবহার করুন এবং অবশ্যই ফাইল এর নাম সহ অর্থবধক নিশ্চিত করুন।
- URL Structure: সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার সমৃদ্ধ ইউ.আর.এল ব্যবহার নিশ্চিত করুন।
২. Technical SEO:
- Mobile friendly design: এক্ষেত্রে অবশ্যই চেষ্টা করুন ব্যবহার করার।
- Fast loading: অবশ্যই মনে রাখতে হবে আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড যেন বেশি হয়।
৩. Content SEO:
- যথাযথ keyworld রিসার্চ করুন এবং প্রাকৃতিকভাবে কনটেন্টে তা প্রয়োগ নিশ্চিত করুন।
- আপনার লেখা উল্লিখিত পোষ্টের মধ্যে আপনি অন্যান্য পোষ্টের লিংক যুক্ত করুন যাতে ব্যবহারকারীরা তা পড়তে পারে বা দেখতে পারে।
- আপনি অথরিটিবল ওয়েবসাইট লিংক দিতে পারেন যেমন উইকিপিডিয়া বা সরকারি যে কোন ওয়েবসাইট ইত্যাদি।
৪. Google tools সংযোগ করা:
- আপনার সাইট ইনডেক্সিং এবং যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য আপনি বা শনাক্তের জন্য আপনি Google Search Console যোগ করুন।
- এরপর আপনার সাইটের ভিজিটর যদি ট্যাগ করতে চান তবে সেক্ষেত্রে যোগ করুন Google Analytics.
এডসেন্সের জন্য যোগ্যতা ও শর্ত
এডসেন্স মূলত গুগলের একটি বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্ম যা ওয়েবসাইট ইউটিউব চ্যানেল বা ব্লক থেকে আয় করার জন্য অনেকাংশে সুযোগ তৈরি করে দেয়। এডসেন্সের যোগ্যতা এবং শর্ত নিচে তুলে ধরা হলো:
১. বয়সের শর্ত:
- গুগল এডসেন্স এর জন্য যোগ্যতা সাধারণত আবেদনকারীর বয়স কমপক্ষে 18 বছর হতেই হবে।
২. কনটেন্ট মালিকানা:
- এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে এমন একটি ওয়েবসাইট অথবা ইউটিউব চ্যানেলের মালিক হতে হবে যার কনটেন্ট সম্পূর্ণভাবে আপনার নিজের হবে অন্য কারো কপি বা পেস্ট নয়।
- অবশ্যই মনে রাখার একটি বিষয় হলো কপিরাইট লংঘন করে কনটেন্ট তৈরি গ্রহণযোগ্য না।
৩. মান:
- অবশ্যই আপনার কনটেন্টটি মানসম্পন্ন অর্থাৎ ইউনিক এবং আপনার একক ভাবে নিয়মিত আপডেট হওয়া আবশ্যক।
- উল্লেখযোগ্য হলো আপনার লিখিত বা তৈরিকৃত কনটেন্ট টি যেন হিংসা, অশ্লীলতা, বর্ণবাদ, অবৈধ, যেন না হয়।
৪. চ্যানেল অথবা ওয়েবসাইট এর বয়স:
- এক্ষেত্রে সাধারণত আপনার ওয়েবসাইটের বয়স ৬ মাস হওয়া আবশ্যক।
৫. কনটেন্ট ভলিউম এবং ট্রাফিক:
- আপনার ওয়েবসাইটে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণ কনটেন্ট এবং কিছু পরিমাণ ভিজিটর থাকা প্রয়োজন বা উচিত।
- যেমন youtube এর জন্য বা ক্ষেত্রে:
- ১০০০+সাবস্ক্রাইবার থাকা প্রয়োজন বা জরুরী বা উচিত।
- ৪০০০ ঘণ্টার মধ্যে অবশ্যই পাবলিক বা ব্যবহারকারী ওয়াচ টাইম হতে হবে বারো মাস এমন কিছু।
- অবশ্যই কমিউনিটি গাইডলাইন মেনে চলা আবশ্যক।
৬. গুগলের নীতিমালা মেনে চলা:
- এক্ষেত্রে সাধারণত গুগল এডসেন্সের যে প্রোগ্রাম প্রাইভেসি এবং টার্মস এন্ড কন্ডিশন আছে তা অবশ্যই অবশ্যই মেনে চলা উত্তম এবং আবশ্যক।
এক্ষেত্রে বলা যাই আপনার ওয়েবসাইট অথবা ইউটিউব চ্যানেল যদি ওপরে উল্লেখিত সমস্ত শর্তাবলী এবং যোগ্যতা অর্জন করে থাকে তবে আপনি অবশ্যই google এডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন।
লেখক এর শেষ মন্তব্য
প্রথমত আমরা জানি যে গুগল এডসেন্স নির্ভরযোগ্য অনলাইন আয়ের একটি প্ল্যাটফর্ম। যদি গুগল এডসেন্স সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায় তবে অনলাইন আয়ের জন্য এটি একটি দারুন উপায় হতে পারে। যদি আপনি গুগল এডসেন্স এর প্রয়োজনীয় সকল যোগ্যতা এবং শর্তগুলো পূরণ করে ধৈর্য সহকারে কাজ করতে পারেন তবে সে ক্ষেত্রে গুগল এডসেন্স এপ্রুভ হয়ে থাকে।
মনে রাখার উল্লেখযোগ্য একটি বিষয় হল আপনি যদি গুণগত মানসম্পন্ন কনটেন্ট এবং google এর সকল নীতিমালা মেনে চলেন তবে আপনার সাফল্য অবশ্যই আসবে। এজন্য বলব আমি যে সততা এবং নিয়ম অনুযায়ী চলুন তাহলে আপনার সাইট বা চ্যানেলেও দ্রুতভাবে গুগল এডসেন্সের বিজ্ঞাপন দেখা মিলবে আশাকরি।
আশিক টেক আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটা কমেন্টে রিভিউ করা হয় নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url