ফ্রিল্যান্সিং শেখা বা করার জন্য পূর্ব পরিকল্পনা

 সম্মানিত পাঠকগণ আসসালামু-আলাইকুম। আজ আমরা জানবো ফ্রিল্যান্সিং শেখা বা করার জন্য পূর্ব পরিকল্পনা কি ? তো চলুন জেনে নেই ফ্রিল্যান্সিং শেখা বা করার জন্য পূর্ব পরিকল্পনা সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্র: ফ্রিল্যান্সিং শেখা বা করার জন্য পূর্ব পরিকল্পনা।

ফ্রিল্যান্সিং কি এবং কেন?

ফ্রিল্যান্সিং কি ?
ফ্রিল্যান্সিং মূলত হলো একটি স্বাধীন কাজের ধরন যেখানে একজন ব্যক্তির তার স্বাধীনতা কাজে লাগিয়ে নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে চাকরি না করেও ক্লায়েন্টের সাথে বা যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য যথারীতি কাজ করে থাকে। একজন ফ্রিল্যান্সার মূলত তার দক্ষতা কাজে লাগিয়ে অনলাইন এবং অফলাইন উভয়ে কাজ করে থাকে ।

কেন ফ্রিল্যান্সিং:
বর্তমান বিশ্বে ফ্রীলান্সিং একটি জনপ্রিয় ও লাভজনক কর্মক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত বা এর পরিধি অনেক বিস্তৃত। এখানে বিশেষ করে যারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে ভালোবাসে এবং বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে আয় করতে সক্ষম তাদের জন্য মূলত ফ্রিল্যান্সিং উত্তম পেশা।

নিজের দক্ষতা যাচাই এবং ক্যারিয়ারের লক্ষ্য নির্ধারণ করা

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা বা শেখার জন্য নিজের দক্ষতা এবং ক্যারিয়ারের লক্ষ নির্ধারণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এতে করে আপনি বুঝতে পারেন যে কোন বিষয় নিয়ে কাজ করলে আপনি নিশ্চিত সফল হতে পারেন।

১. নিজের দক্ষতা যাচাই করার উপায় সমূহ:
✅ কি কি বিষয় আপনি ভালো পারেন ?
  • বিভিন্ন ধরনের বিষয় যেমন লেখালেখি করা ডিজাইন করা প্রোগ্রামিং ভিডিও এডিটিং আপনি যেটি করতে এক্সপার্ট বা স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন সেটি বেছে নিন।
  • আপনার পুরনো যে কোন অভিজ্ঞতা বা আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা থেকেও আপনি ইঙ্গিত বা সাহায্য পেতে পারেন।
✅ অন্যদের কাছ থেকে মতামত নেওয়া:
  • আপনার বন্ধুবান্ধব কিংবা পরিবার আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে জানতে পারেন যে আপনি কোন কাজ করতে ভালো পারেন বা এক্সপার্ট কোন কাজে।
✅ অনলাইন স্কিল টেস্ট করুন:
  • অনলাইন কিছু ওয়েবসাইট যেমন Skillshare, Coursera ইত্যাদি ব্যবহারে আপনি আপনার স্কিল টেস্ট দিয়ে বুঝতে পারবেন যে আপনি ঠিক এখন কোন জায়গায় বিলং করছেন বা দাঁড়িয়ে আছেন।
🎯 ক্যারিয়ারের লক্ষ্য নির্ধারণ করার ধাপসমূহ:
✅ আপনি ঠিক কোথায় যেতে চান?
  • এক্ষেত্রে আপনাকে ঠিক করতে হবে যে আপনি কি শুধু পার্টটাইম ইনকাম ই করতে চান ?
  • বা একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে দীর্ঘমেয়াদী ফ্রিল্যান্সিং এজেন্সি  চালাতে চান।
✅ নির্দিষ্ট স্কিল বেছে নেওয়া:
  • লোগো ডিজাইন, লিখালিখি করা, প্রোগ্রামিং করা, ভিডিও এডিটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ইত্যাদি যেকোনো একটি নির্দিষ্ট স্কিল আপনি বেছে নিন যেটাতে আপনি কাজ করে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন।
✅ ছোট ছোট লক্ষ্য ঠিক করুন:
  • তিন মাসের মধ্যে নির্দিষ্ট একটি কোর্স শেষ করব এমন বা
  • যেকোনো একটি প্রজেক্ট কমপ্লিট করব অথবা
  • পাঁচ থেকে ছয় মাসের মধ্যে মার্কেট পেয়েছে একটি প্রোফাইল তৈরি করে কাজ পাবার জন্য চেষ্টা করব।
⚒️ স্কিল ডেভলপমেন্ট এবং প্রস্তুতি:
  • কোর্স করা: বিভিন্ন ধরনের অনলাইন মাধ্যম যেমন youtube, google ডিজিটাল গ্রেড ইত্যাদি থেকে আপনি সহজেই শিখতে পারবেন।
  • প্র্যাকটিস করা: আপনি আপনার শেখার সুবিধার্থে নিজের কাজের জন্য প্রজেক্ট বানান বা তৈরি করুন।
  • পোর্টফলিও বানান: এক্ষেত্রে মূলত আপনি যে কাজগুলা ভালোভাবে শিখেছেন সেগুলো সুন্দরভাবে সাজিয়ে অনলাইন একটি পোর্টফোলিও তৈরি করে রাখুন।

উপযুক্ত স্কিল নির্বাচন এবং শেখার পরিকল্পনা গ্রহণ

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখা বা  করার জন্য আপনার উপযুক্ত স্কিল নির্বাচন করা এবং একটি সুশৃংখল শেখার পরিকল্পনা খুবই জরুরী এবং উত্তম। এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য হল সঠিক স্কিল যদি আপনার না থাকে তবে আপনি কোন কাজ ভালোভাবে করতে পারবেন না আবার আয়ও করতে পারবেন না।

১. উপযুক্ত স্কিল নির্বাচন করা (Skill Selection)
✅ আগ্রহ এবং দক্ষতার মূল্যায়ন করা:
  • এক্ষেত্রে আপনি কোন ধরনের কাজ করতে বেশি ভালোবাসেন বা ভাল কাজ করতে পারেন তা সিলেক্ট করতে হবে।
  • আবার উক্ত কাজের ওপর আপনার কোন অভিজ্ঞতা আছে কি এবং আপনার শিক্ষাগত ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে।
২. চাহিদা সম্পন্ন কিছু ক্যাটাগরি স্কিল সমূহ:
A. প্রযুক্তি এবং ডেভেলপমেন্ট
  • এক্ষেত্রে ওয়েভ ডেভেলপমেন্ট এর মধ্যে রয়েছে HTML, CSS, JavaScript, WordPress.
  • যথাক্রমে অ্যাপ ডেভেলপমেন্টে Flutter, Swift, etc.
  • আবার সফটওয়্যারের জন্য QA/testing এক্ষেত্রে এর চাহিদা অনেক বেশি এবং আয় ও খুব ভালো হয়।
B. ডিজাইন এবং ক্রিয়েটিভ কাজ:
  • Photoshop, Illustrator, Canva ইত্যাদি গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য ভালো।
  • ভিডিও এডিটিং বা মোশন গ্রাফিক্সের জন্য আপনি Premiere pro, After effects ইত্যাদি সিলেক্ট করতে পারেন।
চাহিদা মাঝারির থেকেও অনেক বেশি এবং প্রতিযোগিতাও অনেকাংশে বেশি।
C. কনটেন্ট এবং মার্কেটিং:
  • এতে উল্লেখযোগ্য হলো কন্টেন্ট রাইটিং ব্লগিং এবং কপিরাইটিং ইত্যাদি।
  • ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য অনলাইন প্লাটফর্ম সমূহ যথাক্রমে SEO, FACEBOOK, Google Ads etc.
চাহিদা: এর চাহিদা অনেক তবে বিশেষ করে ইংরেজিতে যদি ভালো হয় সেক্ষেত্রে সুবিধা বেশি।
D. অফিস অথবা সাপোর্ট রিলেটেড স্কিল সমূহ:
  • উল্লেখযোগ্য হলো ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট।
  • কাজ হলো ডাটা এন্ট্রি অথবা ওয়েব রিসার্চ করা।
  • যথাক্রমে Microsoft Excel, Google sheets.
চাহিদা বেশি কিন্তু তুলনামূলকভাবে আয় কম হয়।

শেখার পরিকল্পনা:
প্রথম পর্যায়ে অবশ্যই আপনাকে যেকোনো একটি নির্দিষ্ট স্কিল বেছে নিতে হবে।
প্রথম মাস:
  • শুরুতেই প্রথম মাসে আপনি যথাক্রমে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন কনসেপ্ট সম্পর্কে বুঝুন জানুন এবং উল্লেখিত প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার সম্পর্কিত সকল তথ্যসমূহ শিখুন।
দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় মাস: প্র্যাক্টিস এবং রিয়েল প্রজেক্ট
  • বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন তৈরি করুন যেমন হতে পারে লোগো ডিজাইন ব্যানার ডিজাইন ইত্যাদি প্রভৃতি।
  • Behance / Dribble তে পোর্টফোলিও তৈরি করুন।
চতুর্থ থেকে পঞ্চম মাস: কোর্স এবং চ্যালেঞ্জ
  • আপনার লেভেল কোর্সের জন্য YouTube, / Udemy.
  • যথাক্রমে আপনি ফেসবুক গ্রুপ বা টিচ কোড কমিউনিটিতে আপনার করা কাজগুলো শেয়ার করতে থাকুন।
ষষ্ঠ মাস: পোর্টফলিও তৈরি এবং মার্কেটপ্লেস এর প্রস্তুতি গ্রহণ
  • Fiverr/ Upwork এ আপনার প্রোফাইল অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
  • যথারীতিভাবে ক্লায়েন্টদের জন্য অবশ্যই রেডি থাকুন।
কিছু টিপস:
  1. কোনমতেই একের অধিক ইস্কিন একসাথে শিখবেন না।
  2. প্রতিদিন অন্ততপক্ষে দুই থেকে তিন ঘন্টা আপনি শেখার জন্য সময় বার করুন।
  3. আপনি আপনার নিজের কাজ অন্যদের সাথে শেয়ার করুন এবং ফিডব্যাক নিয়ে নিন।

প্রয়োজনীয় টুলস এবং সফটওয়্যার শেখা

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা বা শেখার জন্য প্রয়োজনীয় টুলস এবং সফটওয়্যার এর ব্যবহার জানা খুবই জরুরী। নিচে প্রয়োজনীয় টুলস এবং সফটওয়্যার এর ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো যাতে আপনি যে কোন একটি স্ক্রিল বেছে নিয়ে তারপর ধাপে ধাপে সফটওয়্যার এবং টুলস এর কাজগুলো করতে পারেন।

✅ ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য প্রয়োজনীয় টুলস এবং সফটওয়্যার:
🎨 গ্রাফিক্স ডিজাইন:
মূলত যারা সৃজনশীল কাজ করতে চাই অথবা যাদের ডিজাইন করতে ভালো লাগে।
  • গ্রাফিক্স ডিজাইনের মধ্যে রয়েছে ছবি এডিটিং সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ডিজাইন এবং Adobe Photoshop.
  • বিভিন্ন ধরনের লোকও এবং ভেক্টর আর্ট ডিজাইনের জন্য রয়েছে Adobe illustrator.
  • খুব দ্রুত এবং সহজ উপায়ে ডিজাইনের জন্য ব্যবহৃত হয় Canva.
💻 ওয়েব ডেভেলপমেন্ট:
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট মূলত যারা কোটিং শিখে ওয়েবসাইট বানাতে বিশেষভাবে আগ্রহী।
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর জন্য কোড লিখার জনপ্রিয় একটি টুল হলো Visual Studio Code.
  • পর্যায়ক্রমে ওয়েব ডিজাইনের বেসিক ভাষার জন্য সাধারণত ব্যবহার করা হয় HTML, CSS, JAVASCRIPT etc.
  • আবার এডভান্স ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর জন্য আমরা সাধারণত React J's/Node J's.
📈 ডিজিটাল মার্কেটিং:
যারা মূলত সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং অথবা এস.ই.ও বিজ্ঞাপন নিয়ে কাজ করে।
  • ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ওয়েবসাইট ট্রাফিক বিশ্লেষণ করে সাধারণত Google Analytics.
  • এরপর পেইড মার্কেটিং যথাক্রমে Google Ads /Facebook Ads.
  • বিভিন্ন ধরনের কিওয়ার্ড ও এস ই ও বিশ্লেষণ যথাক্রমে Ahrefs.
  • উল্লেখযোগ্য সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট সিডিউল তৈরি করার জন্য Buffer/Hootsuite.
🎥 ভিডিও এডিটিং:
ভিডিও এডিটিং মূলত হল যারা ইউটিউব ভিডিও বা বিজ্ঞাপন নিয়ে কাজ করে।
  • প্রফেশনাল ভিডিও তৈরির জন্য বা এডিট করার জন্য সাধারণত ব্যবহৃত হয় Adobe Premiere pro.
  • যারা প্রাথমিক অবস্থা শুরু করতে চাচ্ছেন বা বিগিনার তাদের জন্য সহজ সফটওয়্যার হচ্ছে Camtasia, Filmora.
  • Adobe After effects মূলত ব্যবহৃত হয় মোশন গ্রা ফিক ট্রানজিসন ভিজুয়াল ইফেক্টস ইত্যাদির জন্য।
✍️ কন্টেন্ট রাইটিং এবং ট্রান্সলেশন:
কনটেন্ট রাইটিং এবং ট্রান্সলেশন হলো মূলত যারা লেখালেখি বা ব্লগিং করতে বেশি আগ্রহী তাদের জন্য।
  • কনটেন্ট রাইটিং এ সাধারণত গ্রামার ঠিক করার জন্য ব্যবহৃত হয় Grammarly.
  • আপনার উল্লেখিত লিখাগুলোকে সহজ এবং আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য ব্যবহৃত সফটওয়্যারটি হল Hemingway editor.
  • পর্যায়ক্রমে আপনার লেখালেখির জন্য ক্লাউড ভিত্তিক টুলস সফটওয়্যার টি হল Google Docs.
  • আপনার লেখা গুলো ট্রান্সলেশন করার জন্য আপনি Deeply translation ব্যবহার করুন।

পোর্টফলিও তৈরি

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখা বা শুরু করার জন্য পোর্টফোলিও তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ পোর্টফলিও আপনার কাজের দক্ষতা অভিজ্ঞতা এবং নমুনা উপস্থাপন করার জন্য একটি পেশাদার উপায় হতে পারে। আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কিভাবে একটি কার্যকর পোর্টফোলিও তৈরি করবেন তা নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো:

পোর্টফলিও কি?
সাধারণভাবে আমরা পোর্টফোলিও বলতে যা বুঝি একটি অনলাইন বা অফলাইন ডকুমেন্ট অথবা ওয়েবসাইট যেখানে আপনি আপনার কাজের নমুনা অভিজ্ঞতা দক্ষতা এবং যোগাযোগের তথ্য প্রদর্শন করতে পারেন যথারীতি। উল্লেখযোগ্য একটি বিষয় হলো ক্লাইন্টরা আপনার পোর্টফোলিও দেখে বুঝতে পারবে আপনি তাদের কাজ করতে কতটা দক্ষ এবং উপযুক্ত।

পোর্টফলিও কেন দরকার?
  • সাধারণভাবে নিজের দক্ষতা প্রমাণের জন্য পোর্টফোলিও আবশ্যক।
  • আবার ক্লায়েন্টদের আস্থা অর্জনের জন্য পোর্টফোলিও প্রয়োজনীয়।
  • পোর্টফোলিও তৈরির মাধ্যমে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। 
পোর্টফোলিও তৈরির ধাপসমূহ:
১. নিজের স্কিল নির্বাচন:
এক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমেই সিলেক্ট করতে হবে আপনি কোন ক্ষেত্রে কাজ করতে চান বা কোন বিষয়ে।
  • ওয়েব ডিজাইন অথবা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট।
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • কনটেন্ট রাইটিং
  • ভিডিও এডিটিং এবং ডিজিটাল মার্কেটিং।
২. প্রজেক্ট নমুনা তৈরি:
প্রজেক্ট নমুনা তৈরি বলতে সাধারণত হবে বুঝায় ক্লায়েন্টের আস্থা তৈরি করার জন্য আপনি নিজে কিছু প্রজেক্ট বানিয়ে শো করুন।
  • যদি আপনি গ্রাফিক ডিজাইনার হন তবে সেক্ষেত্রে ফেক লোগো ডিজাইন।
  • যদি ওয়েব ডেভলপার হন তবে ছোট একটি ওয়েবসাইট ইত্যাদি।
  • পর্যায়ক্রমে আপনি যদি একজন রাইটার হন তবে ব্লগ পোস্ট অথবা আর্টিকেল রাইটিং।
৩. পোর্টফোলিও কনটেন্ট লিখুন:
  • About me/Intro: এক্ষেত্রে আপনি কে কি করেন এবং কেন আপনাকে কোম্পানির জন্য হায়ার করা দরকার তা বোঝানো হয়।
  • Skills: স্কিলের মধ্যে সাধারণত আপনি কোন কোন টুল সম্পর্কে ভালো এবং টেকনোলজি তা নির্বাচন।
  • Project Sample: প্রজেক্ট স্যাম্পল এর মধ্যে সাধারণত স্কিনশট লিংক কিংবা পিডিএফ ফাইল দিয়ে আপনার তৈরি কাজের নমুনা।
  • Testimonials: বিশেষত আপনার পুরনো ক্লায়েন্টদের মতামত সম্পর্কিত।
  • Contact Info: সাধারণভাবে যোগাযোগের জন্য ইমেইল ফরম অথবা সোশ্যাল মিডিয়া profile ইত্যাদি।
৪. পোর্টফোলিও সাধারণত আপনি কোথায় তৈরি করবেন?
  • যারা ডিজাইনার আছেন তাদের জন্য Behance.
  • এবং পর্যায়ক্রমে ডিজাইনগুলো শেয়ার করার জন্য রয়েছে Dribble.
  • আপনি আপনার নিজের ওয়েবসাইট বানানোর জন্য যথারীতি WordPress/ WIX.
  • ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপারদের জন্য তাদের কোড শেয়ার ও প্লাটফর্ম যথাক্রমে GitHub.
  • সংরক্ষণের জন্য প্রাথমিকভাবে ব্যবহার করা হয় গুগল ড্রাইভ অথবা পিডিএফ ফাইল।

ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম পরিচিতি এবং প্রোফাইল তৈরি

আমরা জানি বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং একটি খুবই জনপ্রিয় পেশা যেখানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই বৈশ্বিক ক্লায়েন্টদের কাজ করা হয়। নিচে জনপ্রিয় কিছু ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম এবং কিভাবে প্রোফাইল তৈরি করবেন তা উল্লেখ করা হলো বা তুলে ধরা হলো:

জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মসমূহ:
১.Upwork (www.upwork.com) অ্যাকাউন্ট খুলতে ক্লিক করুন।
  • বর্তমান সময়ে Upwork বড় একটি ওয়েবসাইট প্লাটফর্ম যেখানে বিভিন্ন ধরনের কাজ খুব সহজেই পাওয়া যায় যথা ওয়েব ডিজাইন বা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট লেখালেখি এবং মার্কেটিং ।
২. Fiverr (www.fiverr.com) একাউন্ট খুলতে লিংকে ক্লিক করুন।
  • ফাইভার ডট কমে ফ্রিল্যান্সাররা সাধারণত Gig তৈরি করার মাধ্যমে সেবা অফার করে থাকে। মূলত কাজ শুরু হয় $৫ ডলার থেকে।
৩. Freelancer.com একাউন্ট খুলতে ক্লিক করুন (www.freelancer.com)
  • ফ্রিল্যান্সার ডটকমে সাধারণত ক্লায়েন্টরা তাদের প্রজেক্ট পোস্ট করে এবং ফ্রিল্যান্সাররা সেক্ষেত্রে বিট করে কাজ নেয়।
Peopleperhour অ্যাকাউন্ট খুলতে যথারীতি ক্লিক করুন (www.peopleperhour.com)
  • পিপুল পার আওয়ার সাধারণত ইউরোপের একটি জনপ্রিয় freelancer site যেখানে ছোট এবং মাঝারি ধরনের প্রজেক্ট নিয়ে বেশি কাজ হয়।
প্রোফাইল তৈরির ধাপসমূহ উদাহরণস্বরূপ (Upwork):
১. অ্যাকাউন্ট খোলা:
  • Upwork কে জান এবং সাইন আপ অপশনে গিয়ে আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।
  • এ নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য অবশ্যই আপনাকে আপনার নাম ইমেইল এড্রেস এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে একাউন্ট তৈরি করতে হবে।
  • যথারীতি লিখা থাকবে অনেক তবে আপনি I want to work as a freelancer উল্লেখিত অপশনটি বেছে নিন।
২. প্রোফাইলের তথ্যসমূহ পূরণ:
  • প্রোফাইল ছবি: আপনার একটি স্মার্ট এবং মুখ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে এমন একটি পেশাদার ছবি প্রোফাইলে দিন।
  • টাইটেল: এক্ষেত্রে আপনি কি করেন সে সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখুন।
  • ওভার ভিউ: এক্ষেত্রে আপনি একজন কাইন্ডকে ঠিক কি কি সুবিধা দিতে পারবেন তা প্যারাগ্রাফ আকারে দুই থেকে তিন লাইন লিখুন।
  • স্কিল: আপনি আপনার কাজের সাথে সম্পর্কিত এমন দশটি দক্ষ স্কেল সংযুক্ত করুন যেমন হতে পারে এডোবি ফটোশপ অথবা ইলাস্ট্রেটর ইত্যাদি।
  • আওয়ারলি রেট: উল্লেখিত বিষয়টি হলো আপনার সময় অনুযায়ী কাজের একটি নির্দিষ্ট রেট নির্ধারণ করুন।
৩. পোর্টফোলিও যুক্ত করুন:
  • ইতিমধ্যেই আপনি পূর্বে যেসব কাজ করেছেন তার স্কিনশট গুলো আপনার লিংকে সংযুক্ত করুন।
৪. আইডেন্টিটি ভেরিফিকেশন:
  • যে যে ওয়েবসাইট যেটা চাই যেমন আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র এন আই ডি অথবা পাসপোর্ট দিয়ে তা ভেরিফাই করুন।
✅ গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরামর্শ:
  1. আপনার সব তথ্য আপনি ইংরেজিতে লিখুন কারণ ক্লায়েন্টরা সাধারণত ভাবে বিদেশী হন।
  2. মনে রাখার একটি বিষয় হলো আপনার প্রোফাইল যত বেশি পেশাদার হবে আপনি তত বেশি কাজ পাওয়ার অগ্রাধিকার লাভ করবেন।
  3. এক্ষেত্রে যারা নতুন তারা অবশ্যই ছোট কাজের দিকে লক্ষ্য রাখুন এবং ক্লায়েন্টদের রিভিউ গুলা গুরুত্ব সহকারে নিন।

কমিউনিকেশন এবং ক্লায়েন্ট হ্যান্ডেলিং দক্ষতা

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং এর সফল হতে হলে অবশ্যই কমিউনিকেশন এবং ক্লায়েন্ট হ্যান্ডেলিং দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিচে এই দুটি স্কিল সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো:

১. কমিউনিকেশন স্কিল (Communication skill):
কেন দরকার?
  • অবশ্যই কাজ বুঝা এবং ব্যাখ্যা করার জন্য।
  • একজন ফ্রিল্যান্সারের পেশাদার ইম্প্রেশন তৈরি করতে।
  • যেকোনো সমস্যা সমাধানে দ্রুত ক্লায়েন্টের সাথে সমন্বয় করতে।
যা যা শিখতে হবে:
  • সম্পূর্ণ ইংরেজিতে স্পষ্ট ভাবে লেখা এবং বলার অভিজ্ঞতা বা স্কিল আবশ্যক।
  • ইমেইল অথবা মেসেজ লেখার কৌশল সংক্ষিপ্ত এবং পরিষ্কার যা একজন পেশাদার ফ্রিল্যান্সার লিখে থাকেন।
  • লিস্টেনিং এন্ড আন্ডারস্ট্যান্ডিং স্কিল: এক্ষেত্রে এটাই বোঝায় যে ক্লায়েন্ট কি চায় তা মনোযোগ সহকারে বোঝা।
প্র্যাক্টিস উপায়:
  • বিভিন্ন ধরনের ইংরেজি টিউটোরিয়াল দেখা।
  • গ্রামার সাইড দিয়ে writing practice করা।
  • আপনার ভাইভার অথবা আপওয়ার্ক প্রোফাইল আপনার প্রোপোজাল টেমপ্লেট অনুযায়ী পড়তে শিখা।
২. ক্লায়েন্ট হ্যান্ডেলিং স্কিল:
কেন দরকার?
  • মূলত ক্লায়েন্টদেরকে সন্তুষ্ট রেখে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য।
  • যেকোনো ধরনের সমস্যা যদি হয় তবে সেক্ষেত্রে সুন্দরভাবে সমাধান।
  • যথাযথ ফিডব্যাক নেওয়া এবং কাজের পরিধি বা ব্যাসার্ধ ঠিকঠাক রাখা।
যা যা শিখতে হবে:
  • প্রপোজাল রাইটিং: আপনি কিভাবে ক্লায়েন্টকে কাজের জন্য প্রপোজাল দেবেন তা শেখা।
  • নিকোটিয়েশন স্কিল: এক্ষেত্রে আপনার পারিশ্রমিক আপনার টাইমলাইন অনুযায়ী ঠিক করা।
  • ফিডব্যাক নেওয়ার ও দেওয়ার কৌশল: মনে রাখতে হবে সব সময় ক্লায়েন্টদের সাথে পজিটিভ ভাবে সমালোচনা গ্রহণ করতে হবে।
প্র্যাকটিসের উপায় সমূহ:
  1. ফাইভার অথবা আবহাওয়াকে সফল ফ্রিল্যান্সারদের কনভারসেশন স্টাইল ইত্যাদি ফলো করা।
  2. যথাসময়ে কৃত্রিম চ্যাট সিমুলেশন প্র্যাকটিস করা।
  3. সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য একটি বিষয় হলো ক্লায়েন্টের অভিযোগের উত্তর কেমন হবে তা রোলপ্লে করে যথাসময়ে প্র্যাকটিস করা।

জব পাওয়ার কৌশল এবং বিড করার টিপস

সাধারণত ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি যেটা চ্যালেঞ্জিং হয় তা হলো প্রথম কয়েকটা জব পাওয়া নিয়ে। নিচে ফ্রিল্যান্সারদের জব পাওয়ার কৌশল এবং বিট করার টিপস সম্পর্কে কিছু কার্যকরী উপায় তুলে ধরা :

১. কাজ পাওয়ার কৌশল:
ফ্রিল্যান্সারদের মূলত কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রাথমিক উপায় হলো প্রোফাইল একদম পারফেক্ট হিসেবে পোস্ট করুন। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় হলো আপনার প্রোফাইলে একটি পেশাদার ছবি আপলোড দ্রুত পরিষ্কার এবং প্রাসঙ্গিক ভাবে ক্লায়েন্টদের সাথে কথা বলার টেকনিক এবং আপনি ঠিক কি কাজ করেন বা কোনটা করতে বেশি উৎসাহী তার উল্লেখ ইত্যাদি। পরিশেষে আপনি অবশ্যই আপনার প্রোফাইলে পোর্টফোলিও যুক্ত করুন যেমন হতে পারে আপনার পাঁচটা লোগো ডিজাইন ইত্যাদি বিশেষ।

২. ছোট ছোট কাজ এবং কম বাজেটের কাজের দিকে নজর দেওয়া:
  • যারা একদম নতুন তারা অবশ্যই ছোট প্রোজেক্ট অথবা কম বাজেটের  কাজের দিকে নজর দিন।
  • এতে করে আপনি খুব দ্রুত রিভিউ জমাতে পারবেন।
৩. নির্দিষ্ট কিছু স্কিলের ওপর ফোকাস করা:
  • বিশেষ ধরনের সফটওয়্যার যেমন conver design background remo fall world প্রেস ফিক্সিং টাইপিং ওয়ার্ড ইত্যাদি বিশেষ টুলস গুলোর ওপর নজর দিন।
  • এখানে অনেক প্রতিযোগিতার জায়গা আছে তবে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী সঠিক নিস নির্বাচন করুন।
👉 বিড করার কিছু কার্যকর টিপস:
১. ক্লায়েন্টের চাহিদা বুঝে এবং পড়ে বিট করা:
  • অনেকেই দেখা যায় পুরো ডেসক্রিপশন না করে বিট করে থাকে অবশ্যই এটি করবেন না।
  • ক্লায়েন্টকে বুঝিয়ে দিন যে আপনি তার সমস্যাটা বুঝেছেন।
২. বিডের ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় উল্লেখযোগ্য:
  • কে আপনি ?
  • ক্লায়েন্টের ঠিক কি সমস্যা তার নির্দিষ্ট ব্যাখ্যা।
  • আপনি ঠিক কিভাবে সমস্যার সমাধান করবেন তা।
৩. প্রপোজাল কাস্টমাইজ করা:
  • এক্ষেত্রে যদিও ক্লায়েন্টের নাম থাকে তবে অবশ্যই ব্যবহার করুন।
  • যদি প্রোফাইলে কোন প্রোপোজাল লেখা থাকে তবে অবশ্যই সেটিও সংযুক্ত করুন যেমন: include the word apple in your proposals.
৪. টাইমিং গুরুত্ব:
  • সবেমাত্র পোস্ট হয়েছে এমন জব বিড করুন।
  • অবশ্যই মনে রাখবেন যদি বেশি বিড হয়ে যায় তবে সে ক্ষেত্রে সুযোগ অনেক অংশে কমে যায়।
কার্যকরী কিছু টিপস বা পরামর্শ:
  1. প্রতিদিন অন্তত পক্ষে চেষ্টা করুন ৫ থেকে ১০ টা বিড করার।
  2. আপনি চেষ্টা করুন কপি বা পেস্ট না করার ডিরেক্টলি কাস্টমাইজ করুন। 

পেমেন্ট মেথড

বর্তমান বিশ্বের ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজ শুরু করার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হল নিরাপদ এবং সহজ পেমেন্ট মেথড সেটআপ করা। বাংলাদেশ থেকে ফ্রিল্যান্সিং পেমেন্ট গ্রহণের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং নিরাপদ পদ্ধতিগুলো নিচে তুলে ধরা হলো:

✅ সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রেমেন্ট মেথডগুলোর তালিকা বাংলাদেশ:
  • Payoneer: সাধারণত ভাইবার আপওয়ার্ক এবং ফ্রিল্যান্সার ডটকমের মত প্লাটফর্মে বেশি ব্যবহার করা হয়।
  • Wise: সাধারণত ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে সরাসরি পেমেন্ট নেওয়া হয়।
  • Direct Bank transfer: কিছু মার্কেট প্লেসের জন্য উপযোগী পেমেন্ট মেথড।
  • Cryptocurrency: উল্লেখিত পেমেন্ট মেথডটি সরাসরি ক্লায়েন্টদের সাথে সম্পর্কিত।
  • Bkash/Nagad: সরাসরি মার্কেটপ্লেসে নয় কিন্তু ক্লায়েন্টদের মাধ্যমে পেমেন্ট হয়।
✅ বাংলাদেশের জনপ্রিয় পেমেন্ট মেথড Payoneer:
ব্যবহারের সুবিধা:
  • ফাইভার এবং আপওয়ার্ক এর মত প্লাটফর্মের সাথে সহজেই লিংক যুক্ত করা যায়।
  • এ ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সাররা পেমেন্ট মেথডে ডলার সরাসরি ব্যাংকে আনতে পারেন।
  • উল্লেখযোগ্য মাস্টার কার্ড পাওয়া যায় যার মাধ্যমে সহজেই আপনি ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
Payoneer অ্যাকাউন্ট খোলার ধাপ:
  • https//:www.payoneer.com লিংকে ক্লিক করুন।
  • এরপর যথারীতি সাইন আপে ক্লিক করুন।
  • যথাক্রমে আপনার নামে ইমেইল এড্রেস এবং ঠিকানা দিন।
  • আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র nid অথবা পাসপোর্ট দিয়ে ভেরিফিকেশন করুন।
  • যথারীতি আপনার ব্যাংক একাউন্ট যুক্ত করুন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: ফাইভার রেভিনিউ অপশনে গিয়ে আপনি উইথড্র অপশনে ক্লিক করে টাকা তুলতে পারবেন।

✅ Wise ago transfer wise:
Wise এর সুবিধা:
  • দ্রুতভাবে ব্যাংক ট্রান্সফার হয়।
  • ভালো এবং উত্তম রেটিং।
  • ক্লায়েন্টরা খুব সহজেই পেমেন্ট আদান প্রদান করতে পারে।
ব্যবহারের ধাপ:
  1. https//:wise.com/ সাইন আপ করার জন্য ক্লিক করুন।
  2. এরপর পর্যায়ক্রমে আপনার এন.আই.ডি এবং পাসপোর্ট দিয়ে তা ভেরিফাই করুন।
  3. এরপর যথারীতি আপনার ব্যাংক একাউন্ট যুক্ত করুন।
  4. এক্ষেত্রে আপনি ক্লাইন্টকে wise লিংক দিন অথবা ভয়েস ইন ভয়েস পাঠাতে পারেন।
👉 লোকাল ব্যাংক ট্রান্সফার:
  • কিছু কিছু লোকাল মার্কেটপ্লেসে ব্যাংক ট্রান্সফারের অপশন পাওয়া যায়।
  • এক্ষেত্রে সময় অনেক বেশি লাগে এবং চার্য অনেক বেশি হয়।

লেখকের শেষ কথা

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখা বা শুরু করা এক ধরনের স্বাধীন পেশা হিসেবে যুক্ত হয়েছে। যেখানে আপনি নিজের দক্ষতাকে পুঁজি করে আয় করতে পারছেন ঘরে বসেই। অবশ্যই একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে প্রয়োজন আপনার ধৈর্যশক্তি, নিয়মিত অনুশীলন এবং সঠিক দিক নির্দেশনা। বাস্তব সময়ে এর শুরুটা কঠিন হলেও সঠিকভাবে পথ চলতে আপনার জীবনের জন্য সবচেয়ে উপার্জন ক্ষম ও স্বাধীন একটি ক্যারিয়ার হিসেবে যোগ হতে পারে। সর্বোপরি এটাই বলব আপনার যদি শেখার আগ্রহ থাকে তবেই আপনি সফল হবেন।









এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আশিক টেক আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটা কমেন্টে রিভিউ করা হয় নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url