বাসের অগ্রিম টিকেট কাটার নিয়ম অনলাইন অ্যাপ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিষয়ক তথ্যসমূহসম্মানিত পাঠকগণ আসসালামু আলাইকুম। আজ আমরা জানতে বাসের অগ্রিম টিকেট কাটার
নিয়ম সম্পর্কে। তো সম্পূর্ণ পোস্টটি ভালোভাবে পড়ুন।
পেজ সূচিপত্র: বাসের অগ্রিম টিকেট কাটার নিয়ম।
- অগ্রিম টিকেট গুরুত্বপূর্ণ কেন?
- সরকারি এবং বেসরকারি বাসের টিকেট ব্যবস্থা
- টিকেট কাটতে বাসের কাউন্টার এবং অনলাইন অ্যাপ
- পেমেন্ট পদ্ধতি এবং নিশ্চিতকরণ
- টিকেট বুকিং এ প্রয়োজনীয় তথ্য সমূহ
- টিকেট যাচাই এবং সংরক্ষণ
- রিফান্ড এবং বাতিল নীতিমালা
- বিশেষ দিনে ঈদ অথবা ছুটি সংক্রান্ত টিকেট কাটা
- লেখকের শেষ কথা
অগ্রিম টিকেট গুরুত্বপূর্ণ কেন?
বর্তমান সময়ে অগ্রিম ক্রিকেট কেটে অনেক সুবিধা পাওয়া যায় নিচে তা তুলে ধরা
হলো:
১. নিশ্চিত আসন পাওয়া: বিশেষ কোনদিন অর্থাৎ ঈদ বা যেকোনো ছুটিতে অগ্রিম টিকেট
কাটার মাধ্যমে আসন নিশ্চিত ভাবে পাওয়া যায়।
২. সময়মতো পরিকল্পনা: অগ্রিম টিকেট কাটার মাধ্যমে যাত্রার তারিখ এবং সময় আগে
থেকেই জানা যায় যার ফলে সময়মতো পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতি নেওয়া সহজ হয়।
৩. অতিরিক্ত খরচ এড়ানো: বিশেষ বিশেষ দিনে শেষ মুহূর্তে টিকেটের চাহিদা বেড়ে
যায় ফলে টিকেট কাটতে সাধারণের থেকে বেশি টাকা খরচ করতে হয় যা অগ্রিম টিকেট
ক্ষেত্রে কম।
৪. চিন্তামুক্ত থাকা: অগ্রিম টিকেট কাটার মাধ্যমে টিকেটের চিন্তা থাকে না যার
মাধ্যমে যাত্রা নিয়ে কোন মানসিক চাপ আসে না।
৫. বিকল্প রূপ বাস সেবা বেছে নেওয়া: আগে থেকে টিকেট কাটার মাধ্যমে আপনার পছন্দ
অনুযায়ী আপনি বিকল্প রুট অর্থাৎ ট্রেন বাস অথবা ফ্লাইট বেছে নিতে পারেন.
(এক্ষেত্রে যারা যাত্রাবা পরিকল্পনার জন্য সচেতন তাদের জন্য অবশ্যই অগ্রিম টিকেট
কাঁটা গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।)
সরকারি এবং বেসরকারি বাসের টিকেট ব্যবস্থা
নিচে সরকারি এবং বেসরকারি বাসের টিকেট ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো:
১. সরকারি বাসসমূহের টিকেট ব্যবস্থা:
- সরকারি বাসের টিকেট সাধারণত কাউন্টার থেকে কাটা হয়।
- অনেক ক্ষেত্রে সরকারি গাছের টিকেট অগ্রিম অনলাইন বা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বুকিং দেওয়া যায় যেমন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন বিআরটিসি ইত্যাদি সরকারি বাসের টিকেট।
- উল্লেখযোগ্য হলো সরকারি বাসের টিকেটের মূল্য নির্দিষ্ট এবং সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত।
- এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি কাউন্টারে গিয়ে অথবা অনলাইনে নির্দিষ্ট সিট বুক করতে পারেন।
২. বেসরকারি বাসসমূহের টিকেট ব্যবস্থা:
- উল্লেখ্য যে বেশিরভাগ বেসরকারি টিকেট সাধারণত টিকেট কাউন্টার অথবা বাসের টিকেট অফিস থেকে কাটা যায়।
- অনেক বেসরকারি বাস সংস্থা আছে যারা তৃতীয় পক্ষ অর্থাৎ তাদের টিকেট একটি প্লাটফর্মের সাহায্যে অনলাইনে বিক্রয় করে থাকে। যেমন: Shohoz, Pathau, etc.
- বেসরকারি বাসের টিকেট মূল্য সাধারণত সরকারি বাসের টিকিটের মূল্যের তুলনায় বেশি হতে পারে এক্ষেত্রে ক্যাটাগরি সিলেক্ট করার সুবিধা থাকে।
- অনেক সময় দেখা যায় মোবাইল এ মেসেঞ্জার অথবা হোয়াটসঅ্যাপে কল বা যোগাযোগ করেও টিকেট কাটা যায়।
টিকেট কাটতে বাসের কাউন্টার এবং অনলাইন অ্যাপ
বাসের টিকেট কাটার জন্য আপনি সাধারণত দুইটি উপায় অবলম্বন করতে পারেন নিচে তা
দেওয়া হলো:
- সরাসরি বাস কাউন্টারে গিয়ে বা যোগাযোগ করে।
- অনলাইন অ্যাপস অথবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।
১. সরাসরি বাস কাউন্টারে যোগাযোগ করে টিকিট ক্রয়:
- এক্ষেত্রে আপনি আপনার নিকটস্থ বাস কাউন্টারে গিয়ে টিকেট কাটতে পারবেন সরাসরি।
- অবশ্যই টিকেট কাটার ক্ষেত্রে আপনার যাত্রার নির্দিষ্ট তারিখ এবং সময়ের জন্য সীট বুক করবেন।
- এক্ষেত্রে পেমেন্ট নগদ এবং মোবাইলের মাধ্যমেও প্রদান করা যায়।
- অবশ্যই মনে রাখবেন ভ্রমণের আগে টিকেট নিশ্চিত করা প্রয়োজন বিশেষ করে ঈদ বা অন্যান্য ছুটির ক্ষেত্রে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়:
- ঢাকার বিভিন্ন জায়গা যেমন গাবতলী, কল্যাণপুর, সায়েদাবাদ, এবং মহাখালী, এগুলো বিভিন্ন রূটের বাসের মূল কাউন্টার স্থান।
- শ্যামলী, গ্রীন লাইন, ঈগল, ইত্যাদিরও নিজস্ব ভাবে বাস কাউন্টার আছে।
২. অনলাইন অ্যাপস বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে টিকেট কাটা:
🎟️টিকেট কাটার প্রয়োজনীয় অনলাইন অ্যাপস:
- Shohoz-টিকেট কাটার অনলাইন অ্যাপস
- Bdtickets-অ্যাপস ব্যবহার করা হয় অনলাইন টিকেট কাটতে।
- redBUS-অ্যাপস ব্যবহার করে অনলাইন টিকেট কাটা যায়।
টিকেট কাটার জন্য উল্লেখিত ওয়েবসাইট সমূহ:
- www.Shohoz.com টিকেট কাটতে ক্লিক করুন।
- www.busbd.com.bd ক্লিক করুন টিকেট কাটার জন্য।
- www.bdtickets.com এইখানে ক্লিক করুন টিকেট কাটতে।
- www.redBus.com.bd
- www.brtc.gov.bd টিকেট কাটতে উল্লিখিত লিংকে ক্লিক করুন।
অনলাইনে টিকেট কাটার প্রয়োজনীয় ধাপসমূহ:
- প্রথমত আপনাকে অ্যাপস প্রবেশ করে রুট সিলেক্ট করতে হবে।
- পর্যায়ক্রমে আপনার যাত্রার তারিখ এবং সময় দিন।
- এরপর আপনার পছন্দ অনুযায়ী বাস এবং সিট নির্বাচন বা সিলেক্ট করুন।
- এরপর পেমেন্টের জন্য আপনার মোবাইল নম্বর এবং তথ্য দিন যেমন বিকাশ অথবা নগদ ইত্যাদি।
- টিকেট কাটা সম্পূর্ণভাবে কনফার্ম হলে ই টিকেট পাবেন।
পেমেন্ট পদ্ধতি এবং নিশ্চিতকরণ
বর্তমান সময়ে বাকের অগ্রিম টিকে পেমেন্ট পদ্ধতি এবং নিশ্চিতকরণ খুবই সহজ।
বিস্তারিতভাবে বলা হলো:
১. পেমেন্ট পদ্ধতি বা সিস্টেম:
(ক) অনলাইনে টিকেট কাটার ক্ষেত্রে:
- অনলাইনে পেমেন্টের ক্ষেত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হচ্ছে Bkash.
- এরপর যথাক্রমে: Nagad
- Rocket,
- Visa card/Master card ইত্যাদি প্রভৃতি।
- এছাড়াও উল্লেখযোগ্য ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে DBBL, Nexus ইত্যাদি প্রযোজ্য।
ধাপসমূহ:
- প্রাথমিক অবস্থায় টিকেট বুক করুন।
- এরপর যথারীতি আপনার পেমেন্ট অপশন সিলেক্ট বা নির্বাচন করুন।
- আপনার মোবাইলে ওটিপি কোড পাঠানো হবে টিকেট কনফার্ম করার জন্য এক্ষেত্রে আপনি ওটিপি কোড দিয়ে টিকেট কনফার্ম নিশ্চিত করুন।
- আপনার পিকের পেমেন্ট যদি কনফার্ম হয় তবে সেক্ষেত্রে কনফার্মেশন মেসেজ আপনি পাবেন।
(খ) কাউন্টার থেকে টিকেট কাটার ক্ষেত্রে:
- কাউন্টার থেকে টিকেট কাটতে সাধারণত নগদ অর্থ প্রদান করতে হয়।
- এছাড়াও অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় bkash, nagad, QR code স্ক্যান ব্যবহার করে পেমেন্ট করা।
- এক্ষেত্রে আপনার পেমেন্ট সম্পূর্ণভাবে হলে আপনাকে কাগজের টিকেট প্রদান করা হবে।
২. টিকেট নিশ্চিতকরণ:
- এসএমএস অথবা email: এক্ষেত্রে আপনার টিকেট বুকিং শেষ হওয়া মাত্র টিকেট কনফার্মেশন মেসেজ পাবেন।
- উল্লেখযোগ্য হলো ই-টিকেট পিডিএফ অথবা কিউ.আর কোড স্ক্যানের পাঠানো হয়ে থাকে।
- আপনি সাধারণত my ticket apps অথবা বুকিং সেকশনে গিয়ে আপনার টিকেট দেখতে পাবেন।
টিকেট বুকিং এ প্রয়োজনীয় তথ্য সমূহ
বর্তমান সময়ে বাসের টিকেট বুকিং দেওয়ার জন্য সাধারণত নিচে উল্লেখিত তথ্য গুলো
প্রয়োজন হয় যেমন:
১. যাত্রীর ব্যক্তিগত তথ্যসমূহ:
- এক্ষেত্রে অবশ্যই যাত্রীর পুরো নাম
- যাত্রীর পার্সোনাল মোবাইল নম্বর
- যদি ইমেইল থাকে তবে অনলাইনে বুক করার জন্য ইমেইল।
- জাতীয় পরিচয় পত্র তথা nid
২. যাত্রার তথ্যসমূহ:
- অবশ্যই যাত্রার তারিখ এবং সময় উল্লেখ করতে হবে।
- যেখান থেকে বাসে উঠবেন তার স্টাটিং পয়েন্ট উল্লেখ করতে হবে।
- গন্তব্যস্থল তথা আপনি যেখানে যাবেন।
- বাসের ধরন সিলেক্ট করতে হবে যেমন এসি অথবা নন এসি চেয়ার অথবা স্লিপার কোস।
- এক্ষেত্রে অবশ্যই বাস কোম্পানির নামও নির্বাচন করতে হবে যেমন এনা পরিবহন, শ্যামলী পরিবহন, হানিফ, দেশ ট্রাভেলস, ন্যাশনাল ট্রাভেল, ইত্যাদি।
- আবার আপনার সিট নম্বর সিলেক্ট করতে হবে।
৩. অতিরিক্ত তথ্যসমূহ যদি প্রযোজ্য বা প্রয়োজন হয়:
- অবশ্যই আপনার ছাড় বা প্রোমো কোড আবশ্যক।
- ভ্রমণ সংক্রান্ত বিশেষ ধরনের অনুরোধ যেমন এক্ষেত্রে যদি মহিলা সিট বা শিশুসহ ভবন করেন তবে তা উল্লেখ করতে হবে।
টিকেট যাচাই এবং সংরক্ষণ
বাসের টিকিট সাধারণত যাচাই এবং সংরক্ষণ হতে যদি আপনি একটি সিস্টেম বা
অ্যাপ্লিকেশন বোঝাতে চান তবে নিচে দেওয়া সংক্ষিপ্ত বিবরণ গুলো ফলো করুন:
বাসের টিকিট যাচাই এবং সংরক্ষণ
১. টিকেট যাচাই বাছাই
- উল্লেখযোগ্য হলো কিউ.আর কোড স্ক্যান করেও আপনি টিকিটের সত্যতা যাচাই করতে পারেন।
- অবশ্যই আপনি টিকেট যাচাইয়ের ক্ষেত্রে ম্যানুয়ালি টিকেট নম্বর অথবা পিএনআর ইনপ ব্যবহার করতে পারেন।
- এক্ষেত্রে অবশ্যই যাত্রীর পুরো নাম তারিখ এবং বাসের রুট যাচাই।
২. টিকেট সংরক্ষণ এবং বুকিং:
- অবশ্যই আপনি অনলাইনে মাধ্যমে সিট বুকিং সুবিধা পাবেন।
- অবশ্যই দেখে শুনে সিট ম্যাপ সহ আসন নির্বাচন।
- বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে আপনি টাকা পরিশোধ করতে পারেন।
- মনে রাখার একটি বিষয় হল আপনার বুকিং কনফার্মেশন এবং ডিজিটাল টিকেট প্রদান করা হয় যথাক্রমে ইমেইল অথবা এসএমএস অথবা অ্যাপের মাধ্যমে।
রিফান্ড এবং বাতিল নীতিমালা
বাংলাদেশের সাধারণত বাসের টিকেট পরিবহন ভেদে বা কোম্পানি ভেদে ফের ত অর্থাৎ
রিফান্ড এবং বাতিল সিস্টেম চালু আছে। নিচে কিছু নিয়ম বলা হলো:
১. সময়সীমা অনুযায়ী রিফান্ড নীতি:
- এক্ষেত্রে অবশ্যই ২৪ ঘন্টা বা তার আগে যদি বাতিল করতে চাই তবে এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বা প্রায় তার সমপরিমাণ রিফান্ড অর্থাৎ ১০% সার্ভিস চার্জ পর্যন্ত কাটা হতে পারে।
- আবার যদি ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টার মধ্যে টিকেট বাতিল হয় সেক্ষেত্রে রিফান্ড ২০ থেকে ৫০% পর্যন্ত কাটা যেতে পারে।
- এই আবার যদি ডিপারচারের পর টিকেট বাতিল হয় তবে এক্ষেত্রে টিকেট বাতিল কখনোই সম্ভব হয় না বা কোন রিফান্ড দেওয়া হয় না।
২. অনলাইন টিকিটের জন্য বা ক্ষেত্রে:
- উল্লেখ্য যে যদি আপনি মোবাইল অ্যাপ বা ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কাটেন সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সেখান থেকেই টিকেট বাতিল করতে হবে।
- মোবাইল অ্যাপ বা ওয়েবসাইট থেকে টিকেট রিফান্ড প্রক্রিয়ায় সাধারণত তিন থেকে সাত কর্ম দিবস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
- অনেক ধরনের অনলাইন সার্ভিস তারা রিফান্ড চার্জ করে না।
৩. রুট বা গন্তব্য পরিবর্তন:
- অনেক বাস কোম্পানি আছে যারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রুট পরিবর্তনের সুযোগ প্রদান করে তবে সেটা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই করতে হয়।
- এই পরিবর্তনের জন্য বিশেষ কিছু অতিরিক্ত চার্জ যোগ হতে পারে বা হয়ে থাকে।
৪. বিশেষভাবে নোট:
- এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য হল প্রাকৃতিক যেকোনো ধরনের দুর্যোগ সরকারি আদেশ অথবা পরিবহন যে কোন সমস্যার কারণে বাস যদি চলাচল না করে তবে সম্পূর্ণ ডিফান্ড হিসেবে বিকল্প টিকেট প্রদান করা হয়।
- বিভিন্ন ধরনের বাসের কোম্পানি বিভিন্ন হওয়ায় তাদের নীতিমালাও ভিন্ন ভিন্ন এজন্য টিকেট কাটার আগে অবশ্যই নির্দিষ্ট পরিবহন কোম্পানির রিফান্ড পলিসি দেখে নেওয়া প্রয়োজন বা উত্তম।
বিশেষ দিনে ঈদ অথবা ছুটি সংক্রান্ত টিকেট কাটা
সাধারণত ঈদ বা সরকারি যেকোনো ছুটির সময় বাসের টিকেট কাটা কিছুটা চ্যালেঞ্জিং
হয়ে পড়ে। নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো:
১. আগাম অথবা অগ্রিম টিকেট বিক্রয়:
- ঈদ অথবা সরকারি যেকোনো বড় ছুটির সময় পরিবহন কোম্পানিগুলো সাধারণত এক্ষেত্রে দেওয়া সাত থেকে ১০ দিন আগে আগাম টিকেট বিক্রয় শুরু করে থাকে।
- উল্লেখযোগ্য একটি বিষয় হলো টিকেট কাটার নির্দিষ্ট তারিখ এবং সময় পরিবহন কোম্পানিগুলো তারা সংবাদমাধ্যম বা পরিবহন সংস্থার নিজস্ব ফেসবুক পেজে জানিয়ে দেয়।
২. টিকেট কাটার উপায় বা মাধ্যম:
(ক) অনলাইন অথবা ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপ ব্যবহার করে টিকেট কাটা:
- বিভিন্ন ধরনের অনলাইন প্লাটফর্ম তথা সহজ ডট কম, বিডিটিকেটস, বাস বিডি, পরিবহন ডট কম ইত্যাদি অনলাইন টিকেট কাটার জন্য জনপ্রিয় মাধ্যম।
- এক্ষেত্রে অ্যাপস বা ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে টিকেট কাটলে বিকাশ নগদ অথবা রকেটের মাধ্যমে পেমেন্ট খুব সহজেই করা যায়।
- বিশেষ বিশেষ দিনে বা সময় টিকেট খুব দ্রুত শেষ হয়ে যায় এজন্য অ্যাপে লগইন করে আগে থেকেই টিকিট বুকিং করা ভালো।
(খ) সরাসরি কাউন্টার থেকে টিকেট কাটা:
- বিভিন্ন ধরনের বাস কাউন্টার তথা কমলাপুর গাবতলী মহাখালী কল্যাণপুর সায়েদাবাদ ইত্যাদি সরাসরি কাউন্টার গুলোতে গিয়ে টিকেট সংগ্রহ করা যায়।
- কাউন্টারে সরাসরি গিয়ে টিকেট কাটার ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় লাইনে অপেক্ষা করতে হয় অনেক সময়।
৩. ঈদের টিকেটের বিশেষ শর্তসমূহ:।
- সাধারণত ঈদের যা যাত্রার টিকেট রিফান্ড বা বাতিল করা হয় না বা একদমই অসম্ভব।
- সাধারণভাবে ঈদ বা সরকারি যেকোনো ছুটিতে একবার টিকেট কাটলে তা কোন ভাবেই পরিবর্তন যোগ্য নয়।
৪. বিশেষ কিছু টিপস:
- টিকেট কাটার জন্য আপনি আগে বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানির ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইট ভিউ করুন।
- মনে রাখার একটি বিষয় হলো যেদিন থেকে আগাম টিকেট বিক্রয় শুরু হবে সেদিন সকাল সকাল ট্রাই করবেন।
- আপনি ইচ্ছে করলে পরিবারের একাধিক সদস্য দিয়ে অনলাইন এবং অফলাইন দুই জায়গায় টিকেট কাটার জন্য চেষ্টা করতে পারেন।
- যদি আপনি পিক আওয়ার এড়াতে চান তবে সেক্ষেত্রে রাত বা খুব ভোরের বাস আছে এমন টিকেট সংগ্রহের বেশি অগ্রাধিকার দিন।
লেখকের শেষ কথা
বর্তমান সময়ে বাসের অগ্রিম টিকেট কাটার নিয়ম সম্পর্কে লেখক সাধারণত যাত্রীদের
জন্য বিশেষ কিছু পরামর্শ বা সচেতনতামূলক কথা ব্যক্ত বা তুলে ধরেছেন।
এক্ষেত্রে প্রথমেই যেটা বলা হয়েছে তা হল অগ্রিম টিকেট কাটা যাত্রীদের জন্য
অনেকাংশে ভোগান্তি কমায় এবং তাদের যাত্রা স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তোলে অনেকাংশে।
অগ্রিম টিকেট কাটার জন্য অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন যেমন
যাত্রার সময় এবং কখন কোন পরিবহনে আপনি যাত্রা করবেন। এজন্যই আমি বলব যে অবশ্যই
টিকেট কাটার আগে আপনি আপনার পরিকল্পনা ঠিক করুন।
সর্বশেষ কথা হলো যাত্রা পথে অবশ্যই নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রা
করুন।
আশিক টেক আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটা কমেন্টে রিভিউ করা হয় নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url