ওজন কমানোর জন্য সেরা ১০ টি ঘরোয়া উপায়

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বাংলাদেশি খাবারের তালিকাসম্মানিত পাঠকগণ আসসালামু-আলাইকুম। আজকে আমরা এই অধ্যায় থেকে জানব ওজন কমানোর সেরা ১০ দশটি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। তো ওজন কমানোর সেরা ১০ টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই সম্পূর্ণ পোস্টটি ভালোভাবে পড়ুন।



পেজ সূচিপত্র: ওজন কমানোর জন্য সেরা ১০ টি ঘরোয়া উপায়।

দিনের শুরুতে হালকা গরম পানি এবং লেবু পানি পান করা

সাধারণত ওজন কমানোর জন্য আপনি দিনের শুরুতে হালকা গরম পানি এবং লেবু পানি পান করতে পারেন। কারণ গরম পানি এবং লেবু পানি ওজন কমানোর জন্য ঘরোয়া কার্যকরী একটি পরিচিত উপায়। ওজন কমানোর জন্য গরম পানি এবং লেবু পানির বিজ্ঞানসম্মত কিছু যুক্তি নিচে দেওয়া হলো:

উপকারিতা:
  1. বদহজম প্রতিরোধে সাহায্য: সাধারণত গরম পানি পান আমাদের হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং লেবুর সাইট্রিক এসিড আমাদের পাচনতন্ত্রকে অনেকাংশে উদ্দীপ্ত করে।
  2. ভিটিক্সিফিকেশন: বর্তমান সময়ে সকালবেলা যদি আপনি খালি পেটে লেবু পানি পান করেন তবে এটি আপনার শরীর থেকে টক্সিন বের করতে অনেকাংশে সহায়তা করে।
  3. মেটাবলিজম বাড়ায়: লেবু পানিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা আমাদের শরীরের বিপাকক্রিয়া অনেকাংশে বৃদ্ধি করে।
  4. ক্ষুধা কমাতে সাহায্য: হালকা লেবু পানি বা গরম পানি খাওয়ার ফলে আপনি দীর্ঘক্ষণ পরিপূর্ণতা পাবেন যার ফলে অপ্রয়োজনীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
কিভাবে বানাবেন:
  • অন্ততপক্ষে এক গ্লাস হালকা গরম পানি নিন, মনে রাখতে হবে অতিরিক্ত গরম পানি না নেওয়াই ভালো।
  • হালকা গরম পানির সাথে আধা বা এক চা চামচ পরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে নিন।
  • আপনি চিনি পরিহার করার জন্য এক চিমটি কাঁচা মধু যোগ করতে পারেন।
সাবধানতা:
  • অবশ্যই মনে রাখতে হবে অতিরিক্ত লেবু কিন্তু দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে দিতে পারে তাই খাওয়ার পর অবশ্যই কুলি করতে হবে।
  • যাদের এসিডিটির সমস্যা আছে তারা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করবেন।

দৈনন্দিন খাবারে মেথি বীজের ব্যবহার

সাধারণত ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ঘরোয়া উপায়ে মেথি বীজের ব্যবহার অনেক উপকারী হতে পারে। আমরা জানি মেথি বিচে ফাইবার এবং গ্যালাক্টোমানান নাম ক এক ধরনের উপাদান আছে যা ক্ষুধা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করে এবং হজম প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে করে যার ফলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা থাকে। নিচে ঘরোয়া ভাবে ব্যবহারের কিছু উপায় তুলে ধরা হলো:

1. মেথি ভেজানো পানি:
  • রাতে অন্তত এক চামচ মেথি বীজ আপনি এক গ্লাস পরিমাণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
  • সকালবেলা আপনি খালি পেটে সেই পানি পান করুন অথবা চাইলে আপনি বীজ চিবিয়ে খান।
  • মেথি ভেজানো পানি অনেকাংশে মেয়েটা বলিজম বাড়ায়।
2. মেথি গুড়া:
  • এক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই শুকনো মেথি বীজ হালকা করে ভেজে গুড়ো করে নিন।
  • আপনি প্রতিদিন সকালবেলা এক চিমটি মেখে বীজের বড় হালকা গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
3. মেথি চা:
  • মেথি বীজের চা খাওয়ার জন্য আপনি এক কাপ পানিতে এক চা চামচ মেথি বীজ দিয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন।
  • এরপর মেথি ব্রিজ মিশ্রিত গরম পানির সাথে হালকা লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।
4. সবজি অথবা ডাল ভাজিতে মেথি বীজ ব্যবহার:
  • প্রতিদিনের রান্নার সময় ডাল বা সবজিতে সামান্য পরিমাণ মেথি বীজ যোগ করুন কারন এটি শুধু শাদি বাড়ায় না অনেকাংশে উপকারও করে।
পরামর্শ:
  • অবশ্যই মনে রাখতে হবে অতিরিক্ত মেথি বীজ খাওয়ার ফলে পেটের গন্ডগোল হতে পারে তাই অবশ্যই পরিমাণমতো খাবেন।
  • আবার যাদের ডায়াবেটিস বা অন্যান্য সমস্যা আছে তারা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন।

ঘরোয়া হারবাল চা (যেমন দারুচিনি আদা বা গ্রিন টি)

ঘরোয়া ভাবে ওজন কমানোর জন্য হারবাল চা খুবই সহায়ক বা কার্যকরী একটি উপাদান। কারণ হারবাল চা অনেকাংশে মেটাবলিজম বাড়ায় এমনকি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ রাখতেও সাহায্য করে। কিছু জনপ্রিয় এবং ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে কিভাবে হারবাল চা তৈরি করবেন তার রেসিপি এবং উপকারিতা নিচে দেওয়া হলো:


1. দারুচিনি বা আদার চা:

উপকরণসমূহ:

  • প্রাথমিক পর্যায়ে অন্তত এক কাপ পানি
  • ১/২ ইঞ্চি আদা কুচি পরিমাণ মত
  • ১/২ ইঞ্চি দারুচিনি (স্টিক) পরিমাণ
পদ্ধতি: 

  • প্রথমত আপনি পানি ভালোভাবে কুপিয়ে নিন এবং আদা ও দারুচিনি দিন। 
  • অন্ততপক্ষে পাঁচ থেকে সাত মিনিট পর্যন্ত পানি ভালোভাবে ফুটিয়ে তারপর ছেকে নিন।
  • আপনি যদি চান তবে সে ক্ষেত্রে সামান্য মধু দিতে পারেন না।
সময়: সকাল বেলা খালি পেটে অথবা খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট পূর্বে খাওয়া ভালো।

2. গ্রিন টি:

উপকরণসমূহ:

  • এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি একটি গ্রীন টি ব্যাগ অথবা এক চা চামচ গ্রীন টি লিফ
  • আবার এক কাপ গরম পানি
পদ্ধতি:

  • প্রথম পর্যায়ে গরম পানিতে আপনি গ্রিন টি ব্যাগ বা গ্রিন টি লিফ দিয়ে দিন।
  • দুই তিন মিনিট পর্যন্ত অবশ্যই চুবিয়ে নিন।
  • হ্যাঁ আপনি যদি চান তবে সেক্ষেত্রে লেবুর রস মিশাতে পারেন।
সময়: প্রতিদিন অন্ততপক্ষে দুই থেকে তিনবার বিশেষ করে খাবারের পরে খান।

প্রতিদিন নিয়মিত হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করা

ওজন কমানোর জন্য ঘরোয়া উপায়ে প্রতিদিন নিয়মিত হাটা এবং ব্যায়াম করা খুবই উপযোগী। নিচে এ বিষয়ে কিছু পরামর্শ তুলে ধরা হলো:
1. নিয়মিত হাঁটা:
  • এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত হাঁটার চেষ্টা করুন।
  • সাধারণত সকালে খালি পেটে অথবা সন্ধ্যার খাবারের কিছু সময় পরে হাঁটলে বেশি উপকার হয়।
  • যদি আপনি দ্রুত গতিতে হাঁটেন তবে সেক্ষেত্রে ক্যালোরি বাড়ানো বেশি হয়ে থাকে।
2. ঘরোয়া হালকা ব্যায়াম:
  • জাম্পিং জ্যাকস: ১-২ মিনিট কমপক্ষে।
  • স্কোয়াটস: ১০-১৫ বার অন্ততপক্ষে (৩ সেট)।
  • পুশ আপস: এক্ষেত্রে অবশ্যই যদি সম্ভব হয় তবে ৫ থেকে ১০ বার করে শুরু করবেন।
  • স্টেপ আপ: স্টেপ আপ এর ক্ষেত্রে আপনি সিঁড়ির ধাপে উঠানামা করতে পারেন।
  • ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ: এক্ষেত্রে আপনি গান চালিয়ে অথবা শরীর যেকোনো উপায়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর্যন্ত নাড়াচড়া করুন।
3. বাড়তি কিছু টিপস:
  • অবশ্যই বেশি বেশি পানি পান করুন।
  • ফাস্টফুড এবং অতিরিক্ত তেল ঝাল সমৃদ্ধ খাবার পরিহার করুন বা এড়িয়ে চলুন।
  • অন্ততপক্ষে রাতে হালকা খাবার খান এবং ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত দুই ঘন্টা আগে খাওয়া দাওয়া শেষ করুন।

আলু ভাজাপোড়া ও অতিরিক্ত চিনি পরিহার করা

ওজন কমানোর জন্য ঘরোয়া উপায়ে খাবারের মধ্যে অন্ততপক্ষে ভাজা পোড়া এবং অতিরিক্ত চিনি পরিহার করা খুবই জরুরী। কারণ ভাজা পড়া এবং অতিরিক্ত চিনি ওজন বৃদ্ধির অন্যতম একটি প্রধান কারণ। বিস্তারিতভাবে বলা হলো:

1. আলু এবং ভাজা পড়া কেন এড়ানো উচিত?
  • উচ্চ ক্যালরি: ভাজা আলুতে অনেক বেশি পরিমাণে ক্যালরি থাকে বিশেষ করে যখন ডুবন্ত তেলে আলু ডুবিয়ে ভাজা হয়।
  • ফ্রান্স ফ্যাট এবং তেল: অনেক সময় দেখা যায় বাজারে বা ঘরে তেলে ভাজা আলুতে অনিয়ন্ত্রিত পরিমাণে ফ্যাট থাকে যা আমাদের দেহে চর্বি জমাতে সাহায়ক।
  • অধিক কার্বোহাইড্রেট: সাধারণত বলা যায় আলোতে অধিক পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে। অতিরিক্ত আলু খাওয়া হয় তবে সেক্ষেত্রে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায় এবং তা চর্বিতে রূপান্তরিত হতে পারে।
2. কেন অতিরিক্ত চিনি পরিহার করবেন?
  • ইনসুলিন রেসিস্টেন্স: সাধারণত ভাবেই বেশি চিনি খাওয়ার ফলে শরীরে ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমে যায়, যার ফলে আমাদের ওজন অনেকাংশে বেড়ে যায়।
  • খালি ক্যালরি বা ফ্রি ক্যালোরি: আমরা জানি চিনি থেকে শুধু মাত্র ক্যালোরি পাওয়া যায় পুষ্টি পাওয়া যায় না। চিনি আমাদের ওজন বাড়ায় কিন্তু শরীরের পুষ্টি বাড়াতে উপকারে আসে না।
  • ক্রেডিং বৃদ্ধি: সাধারণতভাবেই চিনি খেলে অধিক মিষ্টির লোভ তৈরি হয় যার মাধ্যমে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়।
বিকল্প হিসেবে যা খাবেন:
  • অবশ্যই আপনি বিকল্প খাবার হিসেবে ভাজাপোড়ার বদলে সেদ্ধ আলু বা সবজি খান।
  • আবার চিনির বদলে হালকা মধু খেতে পারেন।
  • অবশ্যই বেশি বেশি পানি পান করুন এবং প্রাকৃতিক খাদ্যাভাস বজায় রাখার চেষ্টা করুন।

প্রতিদিন খাবারের আগে এক গ্লাস পানি পান করা 

আপনি যদি ওগো ওজন কমাতে চান তবে সে ক্ষেত্রে প্রতিদিন খাবারের আগে অন্ততপক্ষে এক গ্লাস পানি পান করা আপনার জন্য খুবই কার্যকর একটি ঘরোয়া উপায় হতে পারে। নিচে আলোচনা করা হলো:
খাবারের আগে কেন এক গ্লাস পানি পান উপকারী?
  1. ক্ষুধা কমায়: সাধারণত ভাবে আমরা জানি খাবারের আগে এক গ্লাস পানি পান করলে পেট ভরা থাকে যার ফলে আপনি খাবার কম খেতে পারেন। এবং এক্ষেত্রে ক্যালরি ও কম খাওয়া হয়।
  2. হজমে সাহায্য: এক্ষেত্রে খাবারের আগে পানি খেলে অবশ্যই হজম প্রক্রিয়া শক্তিশালী হয় এবং পাচনতন্ত্র অনেক ভালোভাবে কাজ করে যা আমাদের গ্যাসও এসিডিটির সমস্যা থেকে দূরে রাখে।
  3. মেটাবলিজম বৃদ্ধি: অনেক গবেষণায় দেখা গেছে পানি পান করার জন্য অনেকাংশে মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায়, যা আমাদের চর্বি পোড়ানোর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে।
  4. ফ্রি ক্যালরি এবং হাইড্রেশন বজায়: পাবনা জানি পানিতে কোন ক্যালরি নেই কিন্তু পানি আমাদের শরীরকে তরতাজা এবং হাইড্রেটেড রাখে যা আমাদের ওজন কমাতে অধিক সহায়ক ভূমিকা রাখে।
পানি কিভাবে গ্রহণ করবেন:
  • এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি প্রতিদিন খাবারের ২০ থেকে ৩০ মিনিট আগে এক গ্লাস পরিমাণ পানি পান করুন।
  • পানি পান করার ক্ষেত্রে ঠান্ডা বা গরম নয় হালকা গরম বা স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি পান সবচেয়ে ভালো হয়।
  • আপনি চাইলে অবশ্যই লেবুর রস মিশিয়ে পান করতে পারেন।
আপনি চাইলে অবশ্যই একটি পূর্ণাঙ্গ ঘরোয়া ভাবে ওজন কমানোর রুটিন তৈরি করে দিতে পারি-সে ক্ষেত্রে আপনি কি আগ্রহী?



পর্যাপ্ত ঘুম এবং মানসিক চাপ কমানো 

ওজন কমানোর জন্য শুধুমাত্র খাবার বা ব্যায়ামি যথেষ্ট নয় এক্ষেত্রে অবশ্যই পর্যাপ্ত ঘুম এবং মানসিক ভাবে চাপ কমানো এই দুটি ঘরোয়া উপায়ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চলুন তাহলে দেখে নেই কেন এগুলো অধিক কার্যকরী-

1. পর্যাপ্ত ঘুম (৬-৮ ঘন্টা) কেন জরুরী?
  • হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা: সাধারণভাবেই পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে (লেপটিন ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন) অনেকাংশে কমে যায় যার ফলে (গ্রেলিন ক্ষুধা বাড়ানোর হরমোন) বেড়ে যায় যাতে করে বারবার খাবার খেতে ইচ্ছে করে।
  • মেটাবলিজম ঠিক রাখা: পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে মেটাবলিজম অনেকাংশেই ভিড় হয়ে যায় যার ফলে ক্যালরি পোড়া কমে যায়।
  • স্টেট হরমোন: স্ট্রেট হরমোন সাধারণভাবেই ঘুম কম হলে কোটিসলের পরিমাণ শরীরে বেড়ে যায় যা আমাদের পেটে চর্বি জমানোর অন্যতম প্রধান কারণ।
2. মানসিক চাপ কমানো কেন জরুরী?
  • ফাস্টফুড এবং চিনি খাওয়ার লোভ বৃদ্ধি: অনেকেই চাপের সময় ফাস্টফুড খায়, যা সাধারণত মিষ্টি এবং অধিক চর্বিযুক্ত খাবার যা আমাদের ওজন অনেকাংশে বৃদ্ধি করে।
  • করটিসল হরমোন ওজন বৃদ্ধি: অতিরিক্ত ভাবে মানসিক চাপ আমাদের কয়টি সল বৃদ্ধি করে যা আমাদের শরীরের ফ্যাট জমাই বিশেষ করে পেটের চারপাশে।
ঘরোয়া টিপস:
  • অবশ্যই আপনি ঘুমানোর আগে বই পড়ুন অথবা স্নান করে নিন।
  • প্রতিদিন আপনি মেডিটেশন বা শ্বাস-প্রশ্বাস অনুশীলন অন্ততপক্ষে পাঁচ থেকে দশ মিনিট পর্যন্ত করুন।
  • চাইলে আপনি তুলসী চা খেতে পারেন যা মানসিকভাবে চাপ কমাতে সহায়ক।

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার এবং সবজি খাওয়া বৃদ্ধি 

ওজন কমাতে হলে সাধারণত ভাইবার সমৃদ্ধ খাবার এবং সবজি খাবার খাওয়া অনেকাংশে বাড়াতে হবে। উক্ত খাবার কোন স্বাস্থ্যের জন্য অনেকাংশে পুষ্টিকর এবং ভালো। চলুন আমরা দেখি কেন এবং কিভাবে এই খাবারগুলা কাজ করে-

ফাইবার এবং সবজি কেন উপকারী!
  1. ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য: ভাইবার জাতীয় খাবার দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে যার ফলে কম খাবার খাওয়া হয়।
  2. ভালো হজম: সাধারণভাবে ফাইবার মন্ত্র পরিষ্কার রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে আবার আমাদের হজম কার্য অনেকাংশে বৃদ্ধি করে।
  3. লো ক্যালোরি: সবজিতে অনেকাংশে ক্যালোরি কম কিন্তু পরিমাণে খাওয়া ভালো যার ফলে পেট ভরে এবং ক্যালোরিও কম হয়।
ফাইবার এবং সবজি জাতীয় খাবার ঘরোয়া সহজলভ্য:

সবজি         ফলমূল          শস্য ও ডাল         বীজ ও বাদাম

ঢেঁরস          কলা               লাল চাল            তিল 
পেঁপে          আপেল           ওটস                  চিয়া সিড
লাউ            আমড়া           মসুর ডাল           আখরোট
করলা         পেয়ারা           ছোলা                 বাদাম
শিম            জাম               মুগ ডাল              

খাওয়ার উপায়:
  • প্রতিদিন অন্ততপক্ষে দুই বেলার খাবারে ৫০ থেকে ৭০ পার্সেন্ট সবজি রাখার চেষ্টা করবেন।
  • অন্ততপক্ষে সকালের নাস্তায় ফল অথবা বাদাম যোগ করুন।
  • বিকেলের নাস্তায় ভাজাপোড়া পরিহার করে এক প্লেট ফল খান।
  • বেশি বেশি পানি পান করুন।

সপ্তাহে একদিন ডিটক্স ড্রিংকস গ্রহণ করা

ওজন কমানোর জন্য ঘরোয়া উপায়ে সপ্তাহে অন্তত একদিন ডিটক্স ড্রিংকস গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডিটক্স ড্রিঙ্ক শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে এবং হজম শক্তি অনেকাংশে বৃদ্ধি করে। নিচে ডিটপ ড্রিংকস এর উপকারিতা ও রেসিপি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :

ডিটক্স ড্রিংকস কেন উপকারী?
  • শরীরের টক্সিন দূর করা: সাধারণত ভাবে ডিটক্স গ্রিনস আমাদের লিভার ও কিডনির কার্যকারিতা বাড়িয়ে শরীরকে ক্ষতিকর পদার্থ থেকে রক্ষা করে।
  • হজম শক্তি ও মেটাবলিজম উন্নত: ডিটক্স ড্রিঙ্ক অনেকাংশে আমাদের হজম শক্তি বাড়ায় এবং ক্যালোরি পোড়ানোর হার উন্নত করে।
  • পানির অভাব পূরণ এবং ক্ষুধা কমানো: ডিটক্স ড্রিংকস সর্বদা পেট ভরা রাখে যার ফলে অপ্রয়োজনীয় খাওয়া কম হয়।
  • ত্বক এবং চেহারার সতেজতা: ডিটক্স ড্রিংকস গ্রহণের ফলে ত্বক পরিষ্কার হয় এবং মুখের উজ্জ্বলতাও অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়।
কখন খাবেন?
  1. সপ্তাহে যেকোনো একদিন আপনি শুধু হালকা খাবারের সাথে ডিটক্স ড্রিঙ্কস গ্রহণ করতে পারেন।
  2. অবশ্যই আপনি প্রতিদিন সকালেও শুরু করতে পারেন এক গ্লাস ডিটক্স ড্রিঙ্কস গ্রহণ করে।
ঘরোয়া ভাবে ডিটক্স ড্রিংকস তৈরীর রেসিপি:
  1. লেবু এবং মধু পানি: এক গ্লাস গরম পানিতে এক চা চামচ মধু এবং পরিমাণ মতো লেবুর রস দিয়ে সকালে খালি পেটে পান করুন।
  2. শশা লেবু এবং পুদিনা: অবশ্যই এক লিটার পানিতে পাতলা করে শসা কেটে নিয়ে লেবু ও কয়েকটি পুদিনা পাতা 4 থেকে 5 ঘন্টা পর্যন্ত ভিজিয়ে রাখুন। পর সারাদিন একটু একটু করে সেই ভেজানো পানি পান করুন।
  3. তুলসী ও আদা ড্রিংক: পানিতে কিছুটা তুলসী পাতা নিয়ে নিন তারপর এক টুকরা আদা ও সামান্য পরিমাণ লেবুর রস দিয়ে পাঁচ থেকে সাত মিনিট পর্যন্ত ফুটিয়ে নিন তারপর হালকা গরম অবস্থায় তুলসী ও আদা মিশ্রিত ড্রিঙ্কস পান করুন।


লেখকের শেষ কথা

ঘরোয়া ভাবে ওজন কমানো সম্ভব যদি আপনি ধৈর্য এবং সমস্ত নিয়মকানুন মেনে চলতে পারেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে প্রাকৃতিক খাবার পর্যাপ্ত পানি পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম মানসিক শান্তি এবং হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে ধীরে ধীরে নিজের শরীরের ওজনকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। কোনভাবে শর্টকার্ট নয় স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনী দীর্ঘ মেয়াদের সঠিক পথ আপনার জীবনে বয়ে আনতে পারে। একটা কথা বলা যেতে পারে আপনি যেমনটা খাচ্ছেন বা ভাবছেন ঠিক সেভাবেই আপনার শরীরটা গঠন হচ্ছে। সর্বোপরি আপনি নিজের প্রতি যত্নশীল হন এবং নিজের সুস্বাস্থ্য নিজেই নিশ্চিত করুন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আশিক টেক আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটা কমেন্টে রিভিউ করা হয় নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url