যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসীদের ইনকামের টিপস

যুক্তরাজ্যে বিনামূল্যে অনলাইন কোর্স করার উপায়সম্মানিত গ্রাহকগণ আসসালামু আলাইকুম আজকে আমরা জানব যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসীদের ইনকামের টিপস সম্পর্কে। জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি ভাবে পড়ুন।

পেজ সূচিপত্র: যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসীদের ইনকামের টিপস।

ফ্রিল্যান্সিং এবং অনলাইন রিমোট জব

মূলত যুক্তরাষ্ট্রে ফ্রিল্যান্সিং এবং অনলাইন রিমোট জব সম্পর্কিত বিভিন্ন উৎস আছে তা তুলে ধরা হলো:

যুক্তরাষ্ট্রে ফ্রিল্যান্সিং এবং অনলাইন রিমোট জব
১. ফ্রিল্যান্সিং কি:
সর্বপ্রথম আমরা জানি যে ফ্রিল্যান্সিং মূলত একটি স্বাধীন পেশা। একজন ব্যক্তি তার নিজস্ব দক্ষতার ভিত্তিতে যে কোন প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী কর্মচারী না হয়েও চুক্তিবদ্ধভাবে কাজ সম্পাদনা করে থাকে এবং এটি ঘরে বসেই।

২. জনপ্রিয় কিছু ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম সমূহ:
  1. upwork: মূলত পেশাদার ক্লায়েন্ট এবং দীর্ঘমেয়াদি কাজের জন্য উল্লেখযোগ্য প্ল্যাটফর্ম।
  2. Fiverr: এখানে মূলত ছোট ছোট গিগ ভিত্তিক কাজ করা হয়ে থাকে।
  3. Freelancer.com: ফ্রিল্যান্সার ডটকম উক্ত প্লাটফর্মে মূলত ক্যাটাগরিতে বিড করা হয় কাজ।
  4. Toptal: মূলত যারা টেকনিক্যাল স্কিল ধরে তাদের জন্য একটি প্রিমিয়াম মার্কেটপ্লেস টপ টাল।
  5. PeopleperHour: উক্ত প্লাটফর্ম কি মূলত ইউরোপ এবং আমেরিকার যারা ক্লায়েন্ট আছে তাদের জন্য অনেকাংশে উপযোগী।
৩. জনপ্রিয় কিছু ফ্রিল্যান্স কাজ:
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর মধ্যে রয়েছে এইচটিএমএল ওয়ার্ড প্রেস ইত্যাদি।
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন: উল্লেখযোগ্য কাজ হল লোগো, ব্যানার, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট।
  • ডাটা এন্ট্রি এবং ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট উল্লেখযোগ্য বিশেষভাবে।
  • কন্টেন্ট রাইটিং এবং বিভিন্ন ধরনের ব্লগ লেখা বা তৈরি করা।
  • ডিজিটাল মার্কেটিং।
  • ভিডিও এডিটিং এবং এনিমেশন তৈরি।
৪. অনলাইন রিমোট জব কি?
মূলত রিমোট জব বলতে আমরা বুঝি কোন প্রতিষ্ঠানের অধীনে স্থায়ী বা চুক্তিভিত্তিকভাবে অনলাইনে কাজ করা।

৫. রিমোট জব প্রচার কিছু জনপ্রিয় ওয়েবসাইট:
  1. Flex jobs: অনেকাংশে ইসলাম মুক্ত এবং নির্ভরযোগ্য একটি রিমট চাকরি।
  2. Remote ok: অনেকাংশে লক্ষ্য করা যায় ঠিক এবং ননটেক কাজ করা হয় এখানে লিখতে এবং ননটেক কাজের জন্য জনপ্রিয়।
  3. Indeed: উক্ত ওয়েবসাইটে মূলত ইউ.এস.এ ভিত্তিক রিমোট চাকরি খুজে পাওয়া অনেকাংশের সম্ভব হয়।
  4. We work remote: সম্পূর্ণভাবে রিমোট ভিত্তিক কাজের সুবর্ণ সুযোগ।
৬. ফ্রিল্যান্সিং বার রিমোট জব করার প্রয়োজনীয় দক্ষতা সমূহ উল্লেখযোগ্য:
  • অবশ্যই প্রাথমিকভাবে ইংরেজিতে ভালো এবং যোগাযোগ দক্ষতা থাকতে হবে।
  • ইন্টারনেট এবং কম্পিউটার ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ বোধ।
  • নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর দক্ষতা থাকতে হবে যেমন হতে পারে ডিজাইন কোডিং লেখালেখি ইত্যাদি বিশেষ।
  • গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হলো টাইম ম্যানেজমেন্ট এবং সেলফ মোটিভেশন।

পার্ট টাইম জব

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসীদের জন্য পার্ট টাইম জব সম্পর্কে নিচে বিস্তারিতভাবে বলা হলো:

১. পার্ট  টাইম জব কি?
এমন একটি চাকরি যেখানে কর্মঘন্টা সাধারণত সপ্তাহে ২০ থেকে ৩০ ঘন্টার মত হয়ে থাকে। সাধারণত শিক্ষার্থীরা এবং নতুন অভিবাসী বা ফুলটাইম চাকরির পাশাপাশি আই বাড়াতে এ পার্ট টাইম চাকরি বা জব অনেক উপযোগী।

২. প্রবাসীরা কেন পার্ট টাইম জব বেছে নিবেন?
  1. প্রথমত পার্টটাইম জব বেছে নেওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো আয় বৃদ্ধি।
  2. হতে পারে স্টাডি বা পরিবার সমালোচনার মাঝে কাজের সুযোগ তৈরি।
  3. কম অভিজ্ঞতায় কাজ পাওয়া।
  4. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাকরির অভিজ্ঞতা অর্জন করা।
  5. পার্ট টাইম যবে মূলত কমিটমেন্ট কম থাকে যার ফলে সময়ের স্বাধীনতা বেশি দেখা যায়।
৩. কোথায় পার্টটাইম জব পাওয়া যায়?
বিভিন্ন ধরনের অনলাইন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পার্টটাইম জব পাওয়া যায় যেমন: Indeed.com, SnagAJob.com, Glassdoor.com, etc.

আবার সরাসরি কোম্পানির ওয়েবসাইটেও পার্ট টাইম জব পাওয়া যায় যথা: Walmart, target, amagon, UPS, FedEx, etc.

লোকাল ভাবে কিছু পার্ট টাইম জব :
  • যেকোনো ধরনের লোকাল স্টার বা রেস্টুরেন্ট দেওয়া।
  • পরিচিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজের খোঁজ পাওয়া।

রাইড শেয়ার এবং ডেলিভারি সার্ভিস

বর্তমান সময়ের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসীদের জন্য রাইট শেয়ারিং এবং ডেলিভারি সার্ভিস অতিরিক্ত আয়ের একটি অন্যতম সহজতর এবং জনপ্রিয় উপায় হিসেবে পরিচিত। নিচে বিস্তারিতভাবে বলা হলো:

১. যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসীদের রাইড শেয়ার সার্ভিস:
জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম গুলো:
  1. জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে Uber
  2. Wingz
  3. Lyft etc 
যোগ্যতা:
  1. অবশ্যই বৈধ লাইসেন্স থাকতে হবে এক্ষেত্রে অন্তত এক বছরের পুরনো।
  2. চালকের বয়স অন্ততপক্ষে ২১ বছর বা তার বেশি হলে ভালো।
  3. অবশ্যই নিজস্ব গাড়ি বা uber এর জন্য পনেরো বছরের কম পুরনো হতে হবে।
  4. অবশ্যই অবশ্যই গাড়ির ইন্সুরেন্স এবং রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হতে হবে।
  5. চালকের ব্যাকগ্রাউন্ড চেক অর্থাৎ কোন অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িত কি না তা যাচাই।
সুবিধা:
  1. নিজের সময় অনুযায়ী যে কোন ভাবে কাজ করা যায়।
  2. প্রতিদিন ইনকাম এবং উত্তোলনের সুযোগ বিদ্যমান।
  3. অভিবাসি বা যারা নতুন এক্ষেত্রে শুধু তাদের মৌখিক ভাবে ইংরেজি জানলেই চলবে। 
২. ডেলিভারি সার্ভিস:
ডেলিভারি সার্ভিসের জনপ্রিয় কিছু প্ল্যাটফর্ম:
  1. Instacart
  2. Uber eat
  3. Door dash etc.
যোগ্যতা:
  1. অন্ততপক্ষে ১৮ বছর বা তার বেশি হলে ভালো।
  2. অন্ততপক্ষে একজন ডেলিভারি ম্যান এর বাইসাইকেল অথবা স্কুটার থাকতে হবে তার লোকেশন অনুযায়ী।
  3. ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং ইন্সুরেন্স অবশ্যই প্রয়োজনীয়।
  4. উল্লেখযোগ্য হলো ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করা।
সুবিধা সমূহ:
  1. অল্প অভিজ্ঞতা অথবা ইংরেজিতে একটু দক্ষ হলেই খুব সহজেই কাজ করা যায়।
  2. যারা স্টুডেন্ট আছেন বা নতুন অভিবাসী তাদের জন্য পার্টটাইম হিসেবে খুবই ভালো।

রিয়েল এস্টেট প্রপারটি ইনভেস্টমেন্ট

বর্তমান সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসীদের জন্য বিশেষ করে যারা গ্রীন কার্ড হোল্ডার নন অর্থাৎ নন রেসিডেন্ট এলিয়েন তাদের জন্য রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টমেন্ট একটি লাভজনক এবং টেকসই বিনিয়োগের একটি অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত। নিচে এর সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে বলা হলো:

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসীদের রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টমেন্ট:
বর্তমান সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বা বিদেশি যে কোন নাগরিকই রিয়েল এস্টেট সম্পত্তি ক্রয় করতে পারেন। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব বা গ্রীন কার্ড কোনভাবেই বাধা নয়। এক্ষেত্রে আইনি কিছু বাড়তি নিয়ম মানা আবশ্যক।

প্রবাসীদের জন্য বিনিয়োগের ধাপ:
১. আই টি আই এন সংগ্রহ:
  • আইটিআইএন সংগ্রহের সোশ্যাল সিকিউরিটি নাম্বার না থাকলে আইটিআইএন দিয়ে ট্যাগ ফাইলিং এবং প্রপার্টি অনেক সময় সহজেই ক্রয় করা যায়।

২. ব্যাংক একাউন্ট খোলা‌ US Bank Account 
  • আপনার বিদেশি হিসাব অথবা ব্যাংক ট্রান্সফার অথবা লেনদেনের জন্য অবশ্যই ইউএস ব্যাংক একাউন্ট থাকা অত্যন্ত জরুরি।
৩. বিশ্বস্ত রিয়েল এস্টেট এজেন্ট খোঁজা:
  • যেকোনো মার্কেট অথবা এলাকা ভিত্তিক দাম বা রেন্ট অনুযায়ী বুঝতে স্থানীয় রিয়েল এস্টেট এজেন্ট আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

অনলাইন স্টোর পরিচালনা

বর্তমান সময়ের যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের জন্য অনলাইন স্টোর পরিচালনা একটি চমৎকার ইনকাম সোর্স হিসেবে খুবই জনপ্রিয়। এক্ষেত্রে আপনি যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান করলেও বা প্রবাসী হয়েও অন্য দেশ থেকে এ ব্যবসা পরিচালনা করা অনেকাংশেই সম্ভব। নিচে তা বলা হলো:

অনলাইন স্টোর পরিচালনা:
  1. আপনি যদি যুক্তরাষ্ট্রের গ্রীন কার্ড হোল্ডার বা নাগরিক হন তবে সহজেই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
  2. আবার যদি নন রেসিডেন্ট অর্থাৎ বিদেশে বসবাসকারী হন তবে এল.এল.সি খুলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আপনি অনলাইন স্টোর পরিচালনা করতে পারবেন।
অনলাইন স্টোর পরিচালনার ধাপগুলো:
১. বাজার নির্বাচন:
  • প্রাথমিক অবস্থায় আপনি কেমন ধরনের পণ্য বিক্রয় করবেন তা নির্বাচন করতে হবে যেমন হতে পারে কাপড়, হ্যান্ডমেড কোন পণ্য, ইলেকট্রনিক্স, ইত্যাদি।
  • এক্ষেত্রে ড্রপ শিপিং পণ্য হতে পারে।
২. ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করা:
  • ই কমার্সের ক্ষেত্রে জনপ্রিয় কিছু প্লাটফর্ম হলো Shopify খুব সহজেই এবং প্রফেশনাল।
  • Etsy যেকোনো ধরনের হ্যান্ডমেড অথবা ইউনিক পণ্যের জন্য উল্লেখযোগ্য।
  • Amazon FBA বিশেষত্ব হল বিশাল বড় মার্কেট রিচ।
৩. ব্যবসা রেজিস্ট্রেশন এবং আইনি কাঠামো:
  • যদি প্রবাসী হন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই এলএলসি তৈরি করুন।
  • ট্যাক্স ফাইন্ডিং এবং আপনার ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য অবশ্যই ইমপ্লয়ার আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার সংগ্রহ করতে হবে।
৪. পেমেন্ট মাধ্যম:
  • কার্ডে পেমেন্ট গ্রহণের জন্য উল্লেখযোগ্য Stripe.
  • আন্তর্জাতিকভাবে পেমেন্ট PayPal.
  • সরাসরি আপনার ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে চান তবে Shopify Payments.

লোকাল কমিউনিটি ভিত্তিক ব্যবসা শুরু করা

বর্তমান সময়ের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসীদের জন্য লোকাল কমিউনিটি ভিত্তিক ব্যবসা শুরু করা একটি দারুন উদ্যোগ। কারণ এতে স্বনির্ভর হওয়ার সুযোগ বেশি তৈরি হয়। নিচে মূল বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো:

১. সঠিক কমিউনিটি বাজার চিহ্নিত করা:
  • প্রাথমিক অবস্থায় লক্ষ্য করতে হবে আপনি কোন প্রবাসী কমিউনিটিতে আছেন কি ?
  • কমিউনিটি চাহিদাগুলো কি তার সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে যেমন হতে পারে খাদ্য, পোশাক, সংস্কৃতি, শিক্ষা ইত্যাদি।
  • অবশ্যই লক্ষ্যণীয় একটি বিষয় হলো প্রতিযোগী আছে কিনা তা যাচাই করা।
২. লোকাল কমিউনিটি ভিত্তিক ব্যবসার আইডিয়া সমূহ:
  1. এক্ষেত্রে হতে পারে দেশি খাবারের রেস্টুরেন্ট বা হোম সার্ভিস।
  2. অবশ্যই হালাল উপায়ে মিট বা গ্রোসারী দোকান পাট।
  3. হতে পারে বাংলা মিডিয়া অথবা পত্রিকা অথবা ইভেন্ট প্ল্যানিং সার্ভিস।
  4. অনলাইন ক্লাস অথবা কমিউনিটি টিউটর।
  5. ডে কেয়ার সার্ভিস অথবা চাইল্ড কেয়ার সার্ভিস।
  6. হতে পারে কমিউনিটি ফটোগ্রাফি ভিডিওগ্রাফি।
৩. শুরু করার আইনি ধাপ: USA ভিত্তিক
  1. অবশ্যই ব্যবসায়ের রেজিস্ট্রেশন।
  2. এবং প্রাথমিক অবস্থায় এমপ্লয়ার আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার সংগ্রহ।
  3. আপনার স্কেট অথবা যে দেশে ব্যবসা করছেন তার কান্ট্রি বিজনেস লাইসেন্স সংগ্রহ করা।
  4. যদি খাবারের ব্যবসা হয় সে ক্ষেত্রে হেলথ ডিপার্টমেন্ট অ্যাপ্রোভাল অবশ্যই লাগবে।
৪. মার্কেটিং এবং কাস্টমারের আকর্ষণ:
  • ফেসবুক গ্রুপ কিংবা বাংলা কমিউনিটি পেজ বা স্থানীয় মসজিদ অথবা কমিউনিটি সেন্টার ব্যবহার করে প্রচার-প্রচারণা করা।
  • কমিউনিটি মূলক বিভিন্ন ইভেন্টে স্পন্সারশীপ নেওয়া।

স্কীল ডেভেলপমেন্ট

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের জন্য স্কিল ডেভেলপমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে যারা চাকরি করছেন বা ক্যারিয়ার পরিবর্তন করতে চান সেক্ষেত্রে। মনে রাখবেন সময়োপযোগী স্কিল আপনাকে প্রতিযোগিতামূলক মার্কেটে এগিয়ে রাখতে অনেকাংশে সাহায্য করে থাকে। নিচে বিস্তারিতভাবে বলা হলো:

১. কোন স্কিল আপনি ডেভেলপ করবেন তার চাহিদা সম্পন্ন কিছু স্কিল:
  • Electrian, plumber.
  • Driving license.
  • Auto repair.
  • Consulting etc.
Digital skill ডিজিটাল স্কিল:
  • Digital marketing, SEO.
  • Data entry.
  • Amazon store management.
  • Graphics design.
  • Web design and development.
২. স্কীল ডেভেলপমেন্ট পরিকল্পনা:
  • অবশ্যই প্রাথমিকভাবে আপনার লক্ষ্য ঠিক করতে হবে যে আপনি ব্যবসায়ী করতে চান বা চাকরি করতে চান কোনটি?
  • অবশ্যই স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য আপনাকে প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ১২ ঘন্টা নির্দিষ্ট ভাবে সময় রাখতে হবে।
  • শুধু শিখলেই হবে না নিয়মমাফিক তা অনুশীলন বা চর্চা করতে হবে।
  • অনেক ফ্রি কোর্স আছে সেগুলোর মাধ্যমে আপনি সার্টিফিকেট অর্জন করুন।
৩. প্রবাসীদের জন্য বিশেষ কিছু টিপস:
  1. অবশ্যই স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য ইংরেজি শেখা গুরুত্বপূর্ণ, কারন কমিউনিকেশন বজায় রাখতে হবে।
  2. আমেরিকান জব মার্কেট বা তাদের কালচার সম্পর্কে জানা।
  3. অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইন মার্কেটপ্লেসে চেষ্টা করা।

স্মার্ট ফিনান্স ব্যবস্থাপনা

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের জন্য বর্তমান সময়ে স্মার্ট ফিনান্স ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত জরুরী এটি সঠিকভাবে অর্থ ব্যবস্থাপনা শেখায়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাপটে প্রবাসীদের জন্য কিছু বাস্তব সম্মত এবং কার্য করি স্মার্ট ফিনান্স ব্যবস্থাপনা নিচে তুলে ধরা হলো:

১. বাজেট তৈরি এবং ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করা:
  • এরকম অবস্থায় প্রতি মাসে আয় এবং ব্যয়ের হিসাব রাখা জরুরী।
  • পঞ্চাশ, ত্রিশ, বিশ নিয়ম অনুসারে আপনি অনুসরণ করতে পারেন ৫০% আপনার খরচ যেমন বাসা ভাড়া বা খাবার হিসাবে আপনি রাখতে পারেন। আবার ৩০% ইচ্ছাকৃত খরচ হিসেবে দেখান যেমন হতে পারে শপিং বিনোদন ইত্যাদি। আবার ২০% আপনি আপনার সঞ্চয় এবং ঋণ পরিশোধের জন্য রাখুন।
২. জরুরী ফান্ড তৈরি করা:
  • এমন হতে পারে জরুরি অবস্থায় আপনি মনে করছেন চাকরি হারিয়ে যাবে বা আপনার প্রয়োজনীয় মেডিকেল খরচের জন্য তিন থেকে ছয় মাসের সমপরিমাণ ব্যয় একটি ফান্ড করুন।
  • আপনি ইচ্ছে করলে আলাদাভাবে একটি সেটিংস অ্যাকাউন্ট রাখতে পারেন।
৩. ক্রেডিট স্কোর গঠন ব্যবস্থাপনা:
  • যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বা বসবাসকারীদের জন্য ক্রেডিট স্কোর খুবই গুরুত্বপূর্ণ যেমন বাসা ভাড়া গাড়ি লোন ইত্যাদি সবকিছুতেই ব্যবহৃত হয়।
  • অবশ্যই মনে রাখতে হবে সময়মতো বিল পরিশোধযোগ।
  • উল্লেখযোগ্য একটি দিক হলো ক্রেডিট কার্ডের ৩০% এর বেশি ব্যালেন্স ব্যবহার না করা।
৪. ঋণ ব্যবস্থাপনা:
  • আপনি অবশ্যই প্রাথমিক অবস্থায় হাই ইন্টারেস্ট ক্রেডিট কার্ডের দিন পরিশোধ করুন।
  • যদি লোন নেন তবে অবশ্যই কিস্তি এবং সুদের হার কত তা বুঝে নিন।
৫. আর্থিক শিক্ষা এবং পরামর্শ:
  • আপনি ফ্রি বিজনেস এবং ফিন্যান্স মেইন্টারিং এর জন্য ব্যবহার করুন Score.org
  • যারা উদ্যোক্তা রয়েছেন এবং ভাবছেন ফিন্যান্স ট্রেনিং নিবেন তাদের জন্য রয়েছে SMS small business Administration.

প্যাসিভ ইনকাম সোর্স গড়া

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের জন্য প্যাসিভ ইনকাম সোর্স করা অত্যন্ত জরুরী নিচে এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে বলা হলো:
  1. প্যাসিভ ইনকামের সোর্স গড়াই প্রাথমিক ভাবে বলা যায় যেমন amazon.com এ আপনি কিছু পণ্য লিস্ট করে রাখেন ডেলিভারি করার জন্য প্রাথমিক অবস্থায় সময় লাগবে কিন্তু পরের দিকে আয় বাড়বে।
  2. আপনি চাইলে রিয়েল ইস্টেট প্রপার্টি বিজনেস শুরু করতে পারেন।
  3. ইউটিউব চ্যানেল কিংবা ফেসবুক পেজ থেকে বিভিন্ন ধরনের ব্লগ পোস্ট ইত্যাদি করে আয় করতে পারেন।
  4. উল্লেখযোগ্য একটি বিষয় হল ড্রপ শিপিং ইতিমধ্যেই খুবই কার্যকরী একটি দি ক আপনি চাইলে ডিজাইন বা ড্রপ শিপিং প্রমোশন করতে পারেন।
  5. আপনি যদি কোন বিষয়ে অভিজ্ঞ হন তবে একটি বই বা অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে ই-বুক বা কোর্স তৈরি করে ইনকাম করতে পারেন।
  6. বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন যথা ছবি ভিডিও এডিটিং বা গ্রাফ করা ইত্যাদির মাধ্যমেও আপনি আয় করতে পারেন।

লেখকের শেষ কথা

বর্তমান সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী যারা আছেন তাদের জীবন অনেক চ্যালেঞ্জিং। যদি আপনি সঠিকভাবে পরিশ্রম পরিকল্পনা বা স্মার্ট সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তবে সেক্ষেত্রে খুব সহজেই আপনার আই বৃদ্ধি এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা অর্জন করতে সহজতর হবে। অবশ্যই মনে রাখতে হবে ইনকামের পথ শুধুমাত্র চাকরি করব এই কথাই সীমাবদ্ধ না রেখে ফ্রিল্যান্সিং,

অনলাইন ব্যবসা এবং বিভিন্ন ইনকামের সোর্সের দিকে নজর দিন। অবশ্যই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে নিজের দক্ষতা বাড়াতে হবে এবং সঞ্চয় করতে হবে। এবং বেশি বেশি বিনিয়োগ করুন সফলতা আপনা আপনি ধরা দিবে।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আশিক টেক আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটা কমেন্টে রিভিউ করা হয় নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url